জাকারবার্গ বলেন, এ প্রকল্পগুলোকে 'মেটাভার্সের দ্বার খোলার চাবি' হিসেবে কাজ করবে। একটি লাইভ উপস্থাপনায় তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ফিচার 'বিল্ডার বট' ব্যবহার করে দ্বীপ, গাছপালা ও সমুদ্রসৈকত সংবলিত ভার্চুয়াল জগৎ তৈরি করেন। 'কৃত্রিম বুদ্ধির সহকারী' প্রযুক্তি উন্নয়নের লক্ষ্যে মেটার 'কেয়ারঅ্যাওকে' প্রকল্পের অংশ এই 'বিল্ডার বট'।
ব্যবহারকারীরা ভিআর হেডসেট বা গ্লাস ব্যবহার করে যখন ভার্চুয়াল জগতে প্রবেশ করবেন, তখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে পৃথিবীকে নতুন করে দেখার ও জানার সুযোগ দেবে বলে উল্লেখ করেন জাকারবার্গ।
মেটা প্রতিষ্ঠাতা আরো বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত মেটার ভার্চুয়াল বিশ্বে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা ও স্বচ্ছতা বজায় থাকবে। উপস্থাপনায় তিনি বিভিন্ন ভাষার কথাকে তাৎক্ষণিক ভাষান্তরের প্রযুক্তি উদ্ভাবনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, যে কোনো ভাষাভাষির লোক অন্য যে কোনো ভাষার মানুষের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে সহজ উপায়ে যোগাযোগ করবে এটা অসাধারণ বিষয়- এরকম স্বপ্ন তিনি সারাজীবন দেখে এসেছেন।
মূলত বিগত এক দশক ধরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উন্নয়নে মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ করে আসছে ফেসবুক। এজন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিভাগে বিশ্বসেরাদের অন্যতম ইয়ান লেকুনকে ফেসবুকের এআই প্রকল্পের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। মেটাভার্সের উন্নয়নে ইউরোপে ১০ হাজার কর্মী নিয়োগ দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এদিকে চলতি বছরের মাঝামাঝি বিশ্বের সবচেয়ে গতিময় সুপারকম্পিউটার উন্মোচন করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে মেটাভার্সের মতো নতুন প্রযুক্তি দুনিয়ায় নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।