সোমবার (৭ মার্চ) বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইট ঢাকা ত্যাগ করে।
এর আগে রোববার (৬ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, সফরে দেশটির সঙ্গে চারটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হতে পারে।
তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার। তবে বাণিজ্য ঘাটতি দেড় বিলিয়ন ডলারের মতো। বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে দেশটিতে রপ্তানি বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
মোমেন আরও জানান, দুই দেশের মধ্যে শিপিং সার্ভিস চালু এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তনে টেকসই উন্নয়নে সহযোগিতা বাড়াতে আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের বিষয়ে দুই দেশের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের নতুন অধ্যায় শুরু করতে চায় ঢাকা।
তবে কোন চারটি বিষয়ে আমিরাতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক সই হতে, তা স্পষ্ট করেননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে মোমেন বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত আমাদের একটি অন্যতম বড় শ্রমবাজার। দেশটি থেকে ২০০৯ সালের পর আসা রেমিট্যান্স বিশ্বের অন্যান্য দেশের মধ্যে দ্বিতীয়। এ ছাড়া গত অর্থবছরে করোনার মধ্যে ৩০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী আমিরাতে গেছেন। ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এ সফরে প্রধানমন্ত্রীকে দেশটি সর্বোচ্চ সম্মান দেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।