জাল টাকার কারবারিদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

জাল টাকার কারবারিদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক কোটি টাকার অর্থদণ্ডের বিধান রেখে 'জাল মুদ্রা প্রতিরোধ আইন' করতে যাচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে আইনটির খসড়া তৈরি করা হয়েছে। জনসাধারণসহ সংশ্নিষ্ট পক্ষগুলোর মতামত নেওয়ার জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত দেশে জাল মুদ্রা বিষয়ে কোনো আইন নেই। এটা এ-সংক্রান্ত প্রথম আইন করা হচ্ছে। কয়েক বছর আগে থেকে আইনটি করার উদ্যোগ নিলেও নানা জটিলতায় তা চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি।

আইনে খসড়ায় বলা হয়েছে, সরাসরি মুদ্রা জাল করা বা জ্ঞাতসারে মুদ্রা জাল প্রক্রিয়ার যে কোনো অংশে জড়িত থাকলে সেটি মুদ্রা জালসংক্রান্ত অপরাধ বলে গণ্য হবে। কোনো মুদ্রা জাল বলে জানা সত্ত্বেও বা জাল হিসেবে কোনো মুদ্রাকে বিশ্বাস করার কারণ থাকা সত্ত্বেও কেউ সেই মুদ্রা লেনদেন করলে তিনি অপরাধী হবেন। মুদ্রা জাল করার উদ্দেশ্যে কোনো যন্ত্রপাতি, উপাদান বা সামগ্রী প্রস্তুত বা কেনাবেচার যে কোনো প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত থাকলেও সেটি অপরাধ বলে বিবেচিত হবে। জাল মুদ্রা তৈরিসংক্রান্ত পদ্ধতি উদ্ভাবন বা তথ্য আদান-প্রদান করলে, কোনো ধরনের ফাইল, অডিও ভিডিও ক্লিপিংয়ের হার্ডকপি বা সফটকপি নিজের কাছে রাখা হলে তাও মুদ্রা জাল করার অপরাধে প্রমাণ হবে। জাল মুদ্রা বিদেশ থেকে দেশে বা দেশ থেকে বিদেশে সরবরাহ বা পরিবহন বা পাচার করলে তিনি অপরাধী হবেন। জ্ঞাতসারে কেউ জাল বা আসল মুদ্রা সম্পর্কে গুজব ছড়ালেও এই আইনে অপরাধী হবেন। ব্লিচড বা টেম্পার্ড বা মিসম্যাচড মুদ্রা কেনাবেচা, ব্যবহার বা লেনদেন করলে সেটিও অপরাধ হবে।

খসড়ায় শাস্তি বিষয়ে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি জাল মুদ্রা তৈরি, বাজারজাত, লেনদেনের যে কোনো পর্যায়ে জড়িত থাকলে তার সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড হবেন। অর্থদণ্ড পরিশোধে ব্যর্থ হলে আরও পাঁচ বছরের জেল হবে। আর যদি কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশ ব্যাংক বা অনুমোদিত প্রিন্ট ও মিন্ট কর্তৃপক্ষের বাতিল করা মুদ্রা বাজারজাত করে বা লেনদেনে ব্যবহার করে তাহলে তার সর্বোচ্চ ১২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড হবে। আর কোনো ব্যক্তি জাল বা আসল মুদ্রা সম্পর্কে গুজব ছড়ালে তার ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড হবে।

এ আইনের আওতায় পুলিশ, সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি অথবা সংক্ষুব্ধ প্রতিষ্ঠানের কোনো প্রতিনিধি নিকটস্থ থানায় মামলা করতে পারবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের কারেন্সি অফিসার বা তার প্রতিনিধিকে মুদ্রার প্রত্যয়ন করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত করা হয়েছে। দেশে প্রায়ই জাল নোট ধরা পড়ে। সম্প্রতি অন্য দেশের জাল মুদ্রাও ধরা পড়েছে বাংলাদেশে। এতদিন প্রচলিত আইনে এ ধরনের মুদ্রার প্রচলন বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। তাতে কঠোর কোনো শাস্তি নিশ্চিত করা যায়নি।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

নতুন সুদহার নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে জুয়েলারি শিল্প
বছর ঘুরলেও প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেনি
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
গ্রাহক সংখ্যায় দেশসেরা প্রতিষ্ঠান নগদ
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
প্রথম দিনেই ২ লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেলো ইভ্যালি
তিন মাসের মধ্যে সব দেনা পরিশোধ শুরু করবো
পোশাকশিল্পকে রাজনৈতিক হাতিয়ার না বানানোর অনুরোধ
এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ৪৪ শতাংশ