এসময় ডিএসইতে লেনদেন হয় ২২৪ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। এছাড়া মোট লেনদেন হওয়া ৩৭৫ টি কোম্পানির মধ্যে ৩১৮ টির দাম বাড়ে। একই সময়ে দাম কমে ২৬ টি কোম্পানির। অপরদিকে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১ টি কোম্পানির।
এদিকে পুঁজিবাজারে পতন ঠেকাতে স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড থেকে শত কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পরামর্শে স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড বোর্ড এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) মাধ্যমে এ টাকা বিনিয়োগ করা হবে।
এছাড়া মঙ্গলবার (৮ মার্চ) শেয়ারের দাম কমার লাগাম টেনে ধরার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। এখন থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম এক দিনে ২ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না। কারণ, শেয়ারের দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা বা সার্কিট ব্রেকার বেঁধে দেওয়া হয়েছে ২ শতাংশে। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত এ সীমা সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ ছিল।
এর আগে শেয়ারবাজারের পতন ঠেকাতে ২০২০ সালের ১৯ মার্চ শেয়ারের দামের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেওয়ার আগের দিন অর্থাৎ ১৮ মার্চ প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩ হাজার ৬০৩ পয়েন্টে নেমে গিয়েছিল। সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বেঁধে দেওয়ার কারণে ১৯ মার্চ ডিএসইএক্স সূচকটি এক দিনেই ৩৭১ পয়েন্ট বেড়েছিল। মূল্যস্তর বেঁধে দেওয়ার মাধ্যমে ওই সময় কৃত্রিমভাবে পুঁজিবাজারে বড় ধরনের পতন ঠেকানো হয়।
এরপর গত বছরের এপ্রিল ও জুনে দুই ধাপে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়। তার বদলে কিছুসংখ্যক কোম্পানির ক্ষেত্রে এক দিনে শেয়ারের দরপতনের সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশের বদলে ২ শতাংশ বেঁধে দেওয়া হয়। একই বছরের ১৭ জুন শেয়ারের দামের উত্থান-পতনের সীমা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়। এর পর থেকে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কমতে বা বাড়তে পারে।