বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) আবুধাবির এমিরেটস প্যালেস হোটেলে ‘ইনভেস্টমেন্ট ফ্ল্যাশ মব: নেটওয়ার্কিং ডিনার’ শীর্ষক শেষ পর্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, এখন পুঁজিবাজার প্রকৃত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরতে প্রস্তুত। আমাদের বাজারে নতুন পণ্য, নতুন বন্ড, সুকুক বন্ড, মুনি বন্ড, অবকাঠামো বন্ড, গ্রিন বন্ড, ব্লু বন্ড আসছে। এসব জায়গায় বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। আমাদের পুঁজিবাজার এখন বিনিয়োগের অন্যতম একটি ক্ষেত্র। আমাদের বাজারে নতুন নতুন পণ্য আসছে। আমরা একটি ভালো ইকুইটি মার্কেট রয়েছে। একইসঙ্গে আমাদের বন্ড মার্কেট এখন খুব ভালো করছে। এছাড়া আমরা গত ১ বছর ২ মাসে ৬০ হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করেছি।
তিনি বলেন, আমরা এখন কমোডিটি এক্সচেঞ্জের দিকে যাচ্ছি। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাসডাকের সঙ্গে একটি চমৎকার বৈঠক করেছে। আমরা সংযুক্ত আরব আমিরাতকে সিএসইর অংশীদার হিসেবে রাখতে চাই। বিশেষ করে আমাদের কমোডিটি এক্সচেঞ্জ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কমোডিটি এক্সচেঞ্জে যৌথভাবে কাজ করবে। যাতে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত একসঙ্গে কাজ করতে পারে। শুক্রবার আশা করি আবুধাবি সিকিউরিটিজ এবং কমোডিটি এক্সচেঞ্জের সঙ্গে আমাদের একটি খুব আকর্ষণীয় বৈঠক হবে। তাই আশা করি, আরও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে, যা অবশ্যই উভয় দেশের জন্য সহায়ক হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার এখন প্রচুর বিদেশি বিনিয়োগ রয়েছে। বিশেষ করে সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, নিউজিল্যান্ড, জার্মানি এবং যুক্তরাজ্য ইতিমধ্যে এখানে বিনিয়োগ করেছে। তারা তাদের নিটা অ্যাকাউন্ট (অনাবাসী বিনিয়োগকারীদের টাকা অ্যাকাউন্ট) অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিনিয়োগ করছে। তাদের বিনিয়োগকৃত অর্থ তাদেরকে মুনাফা দিচ্ছে। গত ত্রিশ বছরে আমাদের পুঁজিবাজার অনেক বেড়েছে। এটা আরও এগিয়ে যাচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে আমাদের দেশেও আন্তর্জাতিক ইস্যু তৈরি হয়েছে। কিন্তু সারা বিশ্বের এই অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে আমরা আমাদের পুঁজিবাজারকে কমবেশি স্থিতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছি। আমরা আশাবাদী যে, খুব দ্রুত ফ্রন্টিয়ার মার্কেট থেকে ইমেজিং মার্কেটে চলে যাবে। আর এটাই আমাদের লক্ষ্য।
প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের শেয়ারবাজারসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী করে তুলতে বিএসইসি ‘ইনভেস্টমেন্ট ফ্ল্যাশ মব: নেটওয়ার্কিং ডিনার’ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে। আর এ অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক জায়ান্ট ওয়ালটন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজার) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির করপোরেট সেলস বিভাগের প্রধান মো. সিরাজুল ইসলাম, ওয়ালটন রেফ্রিজারেটরের চিফ বিজনেস অফিসার প্রকৌশলী আনিসুর রহমান মল্লিক, অ্যাডিশনাল অপারেটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিলটন প্রমুখ।