এরই মধ্যে আগ্রাসনের কারণে ইউক্রেনের অর্থনীতিতে ১০ শতাংশ নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে বলে জানিয়েছে আইএফএফ। বিশেষ করে বড় বড় শহর ও বিমানবন্দরগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। তৈরি হয়েছে শরণার্থী সংকট। এখন পর্যন্ত জরুরি সহায়তা হিসেবে ইউক্রেনকে ১৪০ কোটি ডলার দিয়েছে আইএমএফ। জরুরি তহবিল থেকে সর্বোচ্চ এ পরিমাণ সহায়তাই দেয়া সম্ভব। তবে দেশটির আরো সহায়তা প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে আইএমএফ।
সাধারণত জরুরি সহায়তা অনুমোদনের আগে সংশ্লিষ্ট দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে আইএমএফ। সেখানেই ইউক্রেনের বর্তমান ভয়াবহতার চিত্র উঠে এসেছে। মূলত লেবানন, ইরাক ও সিরিয়ার যুদ্ধকালীন অর্থনীতির ওপর ভিত্তি করে ইউক্রেনের অবস্থার আনুমানিক হিসাব করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেহেতু যুদ্ধ চলমান, ইউক্রেনের পরিস্থিতি বেশ নাজুক অবস্থায় রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কোনো পূর্বাভাস দেয়া হলে তা ব্যাপক অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করবে। তবে সব মিলিয়ে ধারণা করা হচ্ছে ২৫-৩৫ শতাংশের মধ্যে ইউক্রেনের অর্থনীতির সংকোচন ঘটতে পারে।
ইউক্রেনের অর্থনীতি মূলত রফতানি নির্ভর। গত বছর রেকর্ড পরিমাণ শস্য উৎপাদন হলে রফতানিও ৩ শতাংশ বেড়ে যায়। চলতি বছর তা আরো বাড়বে বলে প্রত্যাশা করা হয়েছিল। এখন আইএমএফ বলছে, যুদ্ধের কারণে মানবিক সংকটের পাশাপাশি গভীর মন্দার দিকে যাচ্ছে ইউক্রেন। সূত্র: বিবিসি।