গত বছরের ২৬ জানুয়ারির পর করোনায় মৃত্যু হলো চীনে। এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় মৃত মানুষের সংখ্যা ৪ হাজার ৬৩৮। আজ নতুন করে ৪ হাজার ৫১ জন সংক্রমিত হওয়ার কথা জানিয়েছে কমিশন। আগের দিন এ সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৩৬৫।
২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনে প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। তবে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ, দীর্ঘ কোয়ারেন্টিন এবং নির্দিষ্ট এলাকা লকাডাউনের মতো সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশটি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়। তবে অতি সংক্রামক অমিক্রন ধরন চীনের এই কৌশলকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রযুক্তি শহর শেনঝেনসহ কিছু শহরে লকডাউন দিতে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ। শেনঝেন শহরের বাসিন্দার সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৭৫ লাখ।
চীন বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। দেশটি তিন সপ্তাহ আগেও দৈনিক করোনা সংক্রমণ এক শর নিচে বলে জানিয়েছিল। এক সপ্তাহের বেশি সময় দৈনিক সংক্রমণ এক হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
গত বৃহস্পতিবার চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বলেছেন, জিরো কোভিড নীতিতে তাঁর দেশ আরও কঠোর হবে। চীনের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি। সর্বশেষ সংক্রমণ পরিস্থিতি ঠেকাতে দেশটির কোটি কোটি মানুষ বাসায় অবস্থান করার নির্দেশনার আওতায় রয়েছে।
কয়েকটি শহরে করোনা ছড়িয়ে পড়ায় হাসপাতালের শয্যা খালি করার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমান সংক্রমণ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যব্যবস্থা চাপে পড়তে পারে—এমন আশঙ্কা থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গণপরীক্ষাকেন্দ্রগুলোর সামনে লোকজনকে দীর্ঘ সারিতে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
সফলভাবে করোনা মোকাবিলাকে রাজনৈতিক পুঁজি হিসেবে দেখছেন বেইজিংয়ের কমিউনিস্ট নেতৃত্ব। করোনায় কম মৃত্যুহার দেশটির শাসন মডেলের শক্তি হিসেবে তুলে ধরছেন তাঁরা।