ভাইরাস মোকাবিলায় বিপুল পরিমাণ টেস্ট, কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং, আইসোলেশন ও সুচিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার পদক্ষেপও নিয়েছে দেশটি।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ফেব্রুয়ারির পর দেশটিতে প্রথমবারের মতো বিগত ২৪ ঘণ্টায় স্থানীয় কোনও নাগরিকের করোনা শনাক্ত হয়নি।
নতুন করে শনাক্তকৃত ৪ জন শবিদেশ থেকে এসেই স্বেচ্ছা আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় শনাক্ত হন। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১০ হাজার ৭৬৫ জনে। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৪৭ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছে ৯ হাজার ৫৯ জন।
ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় সংক্রমণের হার বাড়তে শুরু করলে সরকার এরপর ব্যাপক মাত্রায় পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করে দেয়। সারা দেশে অস্থায়ী ক্লিনিক বসানো হয় - যেখানে গিয়ে গাড়ির ভেতরে বসেই মানুষ তার পরীক্ষা সেরে নিতে পারে। এছাড়াও সবার পরীক্ষা করা হয় বিনামূল্যে। শনাক্তকৃত আক্রান্তদের দ্রুত আলাদা করে ফেলে তাদের চিকিৎসা দেয়। এছাড়াও খুবই দ্রুত তারা কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং করতে সমর্থ হয়।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিব জানান, এইসব পদক্ষেপের পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে করোনাভাইরাসের মতো সংকট রুখতে একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষা সম্পন্ন ‘সবুজ পরিকল্পনা’ নেওয়া হয়; যার মধ্য দিয়ে নতুন কয়লা খনি নির্মাণ বন্ধ ও ইতোমধ্যেই থাকা খনিগুলোতে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, 'আমি আশা করি, দক্ষিণ কোরিয়ার এই মডেল বিশ্বের বহু দেশ অনুসরণ করবে।'