রাষ্ট্রায়ত্ত এ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির ভয়াবহ প্রকোপে গোটা বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও স্থবিরতা নেমে এসেছে। এই স্থবিরতা কাটিয়ে দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন।
এরই অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন খাতে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় স্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে সরকার ঘোষিত বিভিন্ন আর্থিক প্রণোদনার প্যাকেজ বাস্তবায়নে সোনালী ব্যাংক কাজ করছে জানিয়ে ব্যাংকটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এই সংকটকালেও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে সোনালী ব্যাংক।
ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যুগান্তকারী বিভিন্ন সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত পর্ষদ সভায় ইতোমধ্যে গৃহীত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত আর্থিক প্রণোদনার আওতায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে চলতি মূলধন হিসেবে সোনালী ব্যাংক এক হাজার কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করেছে। এছাড়া বিভিন্ন শিল্প, কৃষি, ব্যবসা ও বাণিজ্য খাতে আর্থিক প্রণোদনার জন্য আবেদন প্রস্তাব যাচাই করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় গত ৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন প্যাকেজ ঘোষণা করেন। এর মধ্যে রয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ সুবিধা (প্যাকেজ-১), ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সুবিধা প্রদান (প্যাকেজ-২), বাংলাদেশ ব্যাংক প্রবর্তিত এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের (ইডিএফ) সুবিধা বাড়ানো (প্যাকেজ-৩) এবং ‘প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিট রিফাইন্যান্স স্কিম’ নামে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ হাজার কোটি টাকার একটি নতুন তহবিল চালু করবে, যেখান থেকে ৭ শতাংশ সুদে ঋণ দেয়া হবে (প্যাকেজ-৪)।
৩০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে টাকা জোগানোর জন্য। এই তহবিল থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা ৯ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারবে। তবে তাদের ৪ দশমিক ৫ শতাংশ সুদ পরিশোধ করতে হবে, বাকি ৪ দশমিক ৫ শতাংশ সুদ সরকার ভর্তুকি হিসেবে দেবে।