রবিবার (৩ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সান-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানান বরিস। অসাধারণ সেবার জন্য লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালের চিকিৎসাকর্মীদের প্রতি আবারও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।
গত ২৬ মার্চ বরিস জনসনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। ১০ দিন পর (৫ এপ্রিল) অবস্থার অবনতি হলে সেন্ট থমাস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। এর একদিন পর অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে নেওয়া হয় আইসিউতে। তবে গত ৯ এপ্রিল শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাকে আইসিইউ থেকে ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়।
আইসিইউতে থাকাকালীন নিজের শারীরিক অবস্থার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘সে এক কঠিন মুহূর্তু ছিল। আমি অস্বীকার করব না।’
বরিস জানান, তিনি তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণকারী মনিটরের দিকে তাকিয়ে থাকতেন আর দেখতেন ইন্ডিকেটরগুলো ভুল দিকে এগোচ্ছিল। তখন তিনি নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করতেন ‘কবে নিষ্কৃতি পাব এর থেকে?’
জনসন জানান, পরিস্থিতি খারাপ হলে কি কি ব্যবস্থা নিতে হবে তার সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন চিকিৎসকরা।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মনে করেন লন্ডনের সেইন্ট থমাস হাসপাতালের দিনগুলো তাকে করোনা রোগীদের কষ্ট দূর করতে এবং যুক্তরাজ্যকে আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। এরইমধ্যে সন্তানের বাবা হয়েছেন জনসন। গত বুধবার তার বাগদত্তা একটি ছেলেসন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
তারা ছেলের নাম রেখেছেন উইলফ্রেড লরি নিকোলাস জনসন। দাদা, নানা আর জনসনের চিকিৎসকদের নামে নামকরণ করা হয়েছে সন্তানের।