আইএমএফের সঙ্গে বৈঠকে ভালো কিছুর প্রত্যাশা জানিয়ে সাবরি বলেন, ১৮ এপ্রিল ওয়াশিংটনে আলোচনা হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে শিগগিরই সহায়তা আসবে বলেও প্রত্যাশা করেন তিনি।
সংসদে গোতাবায়ে রাজাপাকসের এখনো সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, সংস্থাটির কাছে আমাদের আবেদন হলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অর্থ ছাড় দেওয়া। আইএমএফ ছাড়াও অন্যান্য দাতা ও সরকার থেকে কিছু সহায়তা আসবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আইএমএফের সঙ্গে আলোচনার জন্য গোতাবায়ে রাজাপাকসে সরকারের জন্য সাবরির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নবনিযুক্ত গভর্নর নন্দলাল ওয়েরাসিংহেও প্রধান ভূমিকা পালন করছেন। দেশটির অর্থনীতিকে বাঁচাতে আইএমএফের সহায়তাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে বিদেশে বসবাসরত প্রবাসীদের দেশে নগদ অর্থ পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা। খাদ্য ও জ্বালানির ব্যয় মেটাতে এ অর্থ চাওয়া হয়েছে। কারণ আমদানি করতে যে বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজন তা এই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কার হাতে নেই। এর আগে ৫১ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে অক্ষমতার কথা জানায় দেশটি।
তাছাড়া অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই দেশটিতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ে রাজাপাকসের কার্যালয়ের সমানের রাস্তায় ক্যাম্প স্থাপন করেছে বিক্ষোভকারীরা। প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তারা।