মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য মিত্র দেশগুলো ভিডিওকলে অনুষ্ঠিত ৯০ মিনিটের বৈঠকের সময় কিয়েভে আরও আর্টিলারি, অ্যান্টি-ট্যাংক এবং বিমান প্রতিরক্ষা সহায়তা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেয়। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিন দুয়েক আগে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাসে হামলা ব্যাপকভাবে জোরদার করেছে রাশিয়া। নতুন করে শুরু হওয়া রুশ এ হামলার মধ্যেই ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তার এ প্রতিশ্রুতি সামনে এলো।
ইউক্রেন বলছে, রাশিয়া দেশটির পূর্বে একটি নতুন সামরিক অভিযান শুরু করার কারণে আত্মরক্ষার জন্য তাদের অস্ত্রের প্রয়োজন। আর এ পরিস্থিতিতে রাশিয়ার এ নতুন আক্রমণের মধ্যেই পশ্চিমা নেতারা ইউক্রেনের জন্য আরও সামরিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার ভিডিওকলে বৈঠক করেন।
বৈঠকের পর মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ জানায়, ইউক্রেনের শক্তি বাড়াতে অতিরিক্ত সামরিক বিমান এবং বিমানের যন্ত্রাংশ দেশটিতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ইউক্রেনের ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম মেরামতের জন্যও প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ দেশটিতে পাঠানো হয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ আরও জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র নিজে কিয়েভকে কোনো বিমান সরবরাহ করেনি। একই সঙ্গে কোন দেশগুলো ইউক্রেনকে বিমান সরবরাহ করেছে তার বিস্তারিত বিবরণও তারা দেয়নি। অবশ্য ইউক্রেনের ওপর নো-ফ্লাই জোনের বিকল্প হিসেবে সোভিয়েত-নির্মিত বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এবং যুদ্ধবিমানগুলো হাতে পেতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বরাবরই আবেদন জানিয়ে আসছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম বলছে, পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, গত সপ্তাহে ঘোষণা করা ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা প্যাকেজের সমান আকারের আরও একটি সামরিক সহায়তা প্যাকেজ ইউক্রেনকে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি আরও বলেন, ওয়াশিংটন ইউক্রেনকে আরও কামান ও স্থল যুদ্ধে মোতায়েন করার জন্য ভারি বন্দুক পাঠাবে।
অন্যদিকে বৈঠকে অন্য দেশগুলোও ইউক্রেনকে আরও সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বৈঠকের পর যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, ‘ইউক্রেনের আরও আর্টিলারি সহায়তা প্রয়োজন, এটিই আমরা তাদের দেব।’