যুদ্ধক্ষেত্রে নৃশংসতা চালানো জেনারেলদের এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সামরিক বাহিনীকে সহযোগিতা করা ব্যক্তিবর্গ ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পররাষ্ট্র দপ্তর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস টুইটার বার্তায় বলেন, ‘হাতে ইউক্রেনের নাগরিকদের রক্তের দাগ লাগায়’ তাদের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।’
আবার পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাজ্য সরকার ধরে নিয়েছে যে বেসামরিক অবকাঠামো লক্ষ্যকরে চালানো রাশিয়ার বোমা হামলা উদ্দেশ্যমূলক।
কালো তালিকাভূক্ত করা এসব ব্যক্তির মধ্যে রয়েছেন, রাশিয়ার একটি সামরিক ইউনিটের প্রধান লে: কর্ণেল আজাতবেক ওমুরবাকভ। এ ইউনিটের বিরুদ্ধে রাজধানী কিয়েভের কাছে বুচা শহরে যুদ্ধাপরাধ সংগঠনের অভিযোগ রয়েছে। ইংরেজি ভাষার সংবাদমাধ্যমে তার ডাক নাম দেয়া হয়েছে ‘বুচার কসাই’।
সরকারের ওয়েবসাইটে হালনাগাদ করা এ নামের তালিকায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভের নামের পাশাপাশি তিন জেনারেলেরও নাম রয়েছে। এছাড়া এ তালিকায় ভারপ্রাপ্ত জরুরি পিরিস্থিতি বিষয়ক মন্ত্রী আলেকজান্ডার চুপ্রিয়ানের নামও অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
কালো তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা সংস্থার মধ্যে রয়েছে কালাশনিকভ অস্ত্র সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। তারা একে-৪৭ রাইফেল তৈরির জন্য বিখ্যাত। যুক্তরাজ্য জানায়, রাশিয়ার সৈন্যরা ইউক্রেনে এ প্রতিষ্ঠানের তৈরি অস্ত্র ব্যবহার করছে।
এদিকে রাশিয়ার সামরিক সরঞ্জামাদি পরিবহণ করায় দেশটির রেলওয়েজ মনোপলি ও এর সিইও ওলেগের ওপর যুক্তরাজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
পৃথকভাবে যুক্তরাজ্য সরকার রাশিয়ার সিলভার, কাঠ জাতীয় পণ্য ও ক্যাভিযারের ওপর আমদানি নিষেধাজ্ঞাসহ আরো বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে।
অর্থমন্ত্রী রিশি সুনাক বলেন, যুক্তরাজ্যের নতুন পদক্ষেপের লক্ষ্য সার্বভৌম একটি দেশের ওপর পুতিনের বর্বর ও অযৌক্তিক হামলার জন্য তার দেশের অর্থনীতির আরো চাপ সৃষ্টি করা।