ভারতের সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে কমবেশি ৫ লাখ ২৪ হাজার জনের। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, দেশটিতে করোনার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাবে মৃত্যু হয়েছে আরও প্রায় ৪৭ লাখ মানুষের।
এদিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে গোটা বিশ্বের করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। তাতে দেখা যায়, বিশ্বে মোট ১ কোটি ৪৯ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে করোনার জেরে। তারা বলছে, সরকারি হিসাবের চেয়ে বাড়তি মৃত্যুর পরিসংখ্যানে সবার আগে রয়েছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, তারপর ইউরোপ ও আমেরিকা। এসব অঞ্চলে ৮৪ শতাংশ মৃত্যুর তথ্য গোপন রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ১০ দেশেই রয়েছে ৬৮ শতাংশ বাড়তি মৃত্যুর হিসাব।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ভারতে ২০২০ সালের আগস্টের মধ্যে যতদিন লকডাউন ছিল, ততদিন করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই কম ছিল। সেখানে মৃত্যুর মিছিল বাড়তে থাকে সেপ্টেম্বরের পর থেকে। ভারতে মৃত্যুর যা স্বাভাবিক হিসাব, তার চেয়ে ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পায় করোনাকালে। দেশটিতে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।
২০২১ সালের প্রথমদিকে ভারতে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছিল। সেসময় হাসপাতালে শয্যা পেতে ঘাম ছুটেছে সাধারণ মানুষের। অক্সিজেনের অভাবে বহু মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ভারতে যে পরিমাণ বাড়তি মৃত্যুর সংখ্যা দেখানো হয়েছে, তার একটা বড় অংশ এই দ্বিতীয় ঢেউ থেকে উঠে এসেছে বলে দাবি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
তবে এই তথ্য অস্বীকার করে বাড়তি মৃত্যুর হিসাবে ডব্লিউএইচও’র গণনা পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে ভারত সরকার। তাদের মতে, এই সংখ্যা পুরোপুরি বাস্তবতাবহির্ভূত।