স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে ওই কারখানা থেকে যখন স্টাইরিন গ্যাস ছড়ানো শুরু হয়, তখন আশপাশের গ্রামগুলোর বাসিন্দারা ঘুমের মধ্যে।
ওই এলাকা থেকে অন্তত ৩০০ মানুষকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা চোখে জ্বলুনি ও শ্বাসকষ্টের মত সমস্যা হওয়ার কথা বলেছেন।
এলজি পলিমার ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড নামের ওই কারখানার কাছে অগ্নিনির্বাপণের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশ সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশপাশের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের সরিয়ে ফেলা হচ্ছে।
গ্রেটার বিশাখাপত্তম মিউনিসিপাল করপোরেশন এক টুইটে সবাইকে সতর্ক করে বলে, “গোপালপত্তমের এলজি পলিমারসে গ্যাস লিকেজ ধরা পড়েছে। নিরাপত্তা সতর্কতার কারণে ওই এলাকার আশপাশের নাগরিকদের বাড়ির বাইরে আসতে নিষেধ করা হচ্ছে।”
অন্ধ্র প্রদেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের কর্মকর্তা রাজেন্দ্র রেড্ডিকে উদ্ধৃত করে বিবিসি লিখেছে, এলজির কারখানা থেকে যে গ্যাস ছড়িয়েছে, সেটা স্টাইরিন। সাধারণ ওই গ্যাস শীতল করে তরল অবস্থায় রাখা হয়।
১৯৬১ সালে ওই কারখানা যখন চালু হয়, তখন এর নাম ছিল হিন্দুস্তান পলিমারস। পরে ১৯৯৭ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার এলজি কেমিক্যালস তা অধিগ্রহণ করে। তখন এর নাম হয় এলজি পরিমারস ইন্ডিয়া।
বিবিসি লিখেছে, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গত ২৪ মার্চ ভারতে লকডাউন শুরু হলে এলজির ওই কারখানাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। লকডাউন শিথিল হওয়ায় বুধবার রাতে ওই প্ল্যান্ট খোলার প্রস্তুতি শুরু হয়। তখনই গ্যাস নির্গমণের ঘটনা ঘটে।
কারখানার কর্মকর্তারা বিবিসিকে বলেছেন, এই দুর্ঘটনার কারণ এখনও তারা বের করতে পারেননি, তাদের তদন্ত চলছে।