কেন তিনি ভিডিও রেকর্ড করে রেখেছেন, এ প্রসঙ্গে ইমরান বলেন, ‘যদি আমার কিছু ঘটে যায়, তাই আমি দেশে ও দেশের বাইরে কারা এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত, তা যেন দেশবাসী জানতে পারেন।’
ইমরান খান গতকাল শনিবার পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় পাঞ্জাব প্রদেশের শিয়ালকোট শহরে তেহরিকে ইনসাফ পার্টি আয়োজিত এক বিশাল জনসমাবেশে ভাষণ দেন। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো তাঁকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে যাচ্ছে এবং এ পরিকল্পনা দেশের ভেতরে ও বাইরে বসে করা হচ্ছে।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে আরও বলা হয়, জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা না হলে সরকারকে কঠিন পরিণতির হুমকি দিয়েছেন ইমরান। ইসলামাবাদ অভিমুখে ‘জনসমুদ্র’ নিয়ে রওনার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে গতকাল শিয়ালকোটের এক জনসভায় হত্যাচেষ্টার এমন দাবি করলেন ইমরান।
জাতীয় পরিষদে আস্থা ভোটে হেরে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন ইমরান খান। এর পর থেকে নির্বাচনের দাবিতে বিভিন্ন স্থানে জনসভা করছেন। গতকাল ওই জনসভায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘হত্যার ষড়যন্ত্রে যুক্ত সবার নাম আমার কাছে আছে। আগেই এটা জানতাম, কয়েক দিন আগে সবটা জেনেছি।’ এ প্রসঙ্গে ভিডিও ধারণের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘যদি আমার সঙ্গে কিছু ঘটে, তাই এর সঙ্গে দেশে ও দেশের বাইরে কারা জড়িত ছিল, পাকিস্তানিরা যেন তা জানতে পারেন।’
ইমরান খান বলেন, তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে এবং ওই ভিডিওতে দেশের লুটেরাদের সঙ্গে কারা ষড়যন্ত্রে জড়িত, সেটা ফাঁস করার চেষ্টা করেছেন। তাঁর এই ভিডিও সব দেশদ্রোহীর মুখোশ খুলে দেবে এবং তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে কার কী ভূমিকা, তা উন্মোচিত হয়ে যাবে বলেও দাবি করেন তিনি।
ইমরান খান আরও বলেন, ‘তারা ( ষড়যন্ত্রকারীরা) ইমরান খানকে পথের বাধা মনে করে এবং তাই আমাকে সরিয়ে দিতে চায়। এ জন্য আমি ভিডিওটি ধারণ করেছি। কারণ, আমার মনে হয় এটা রাজনীতি নয়, এটা জিহাদ। আমি চাই যদি আমার সঙ্গে কিছু ঘটে তখন এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে কারা জড়িত, তা যেন সব পাকিস্তানি জানতে পারেন।’
মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অপসারিত ইমরান খান আরও বলেন, দেশকে লুণ্ঠনকারী ও লুটেরাদের থেকে মুক্ত করতে তিনি জাতির জন্য ত্যাগ স্বীকার করছেন।
ক্ষমতা থেকে অপসারিত হওয়ার পর থেকে সরকার হটাতে জনসভা শুরু করেছেন ইমরান খান। আজাদি মার্চ নামে ইসলামাবাদ অভিমুখে সমর্থকদের নিয়ে পদযাত্রার (মার্চ) ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। আর এই মার্চকে সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করতে দেশজুড়ে একের পর এক সমাবেশ করছেন।
আগামী ২০ মের পর যেকোনো সময় মার্চ শুরু হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। সরকার তাঁর দলের সমাবেশ পণ্ড করার চেষ্টা করছে অভিযোগ তুলে এর সমালোচনাও করেন ইমরান খান।