ইনভেস্টমেন্ট জায়ান্ট সফটব্যাংক গ্রুপ করপোরেশন রেকর্ড পরিমাণ নিট লোকসান করেছে। এসএমবিসি নিক্কো সিকিউরিটিজের তথ্য বলছে, প্রথম প্রান্তিকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মুনাফা ১৬ শতাংশ কমেছে।
এদিকে মার্চে সমাপ্ত অর্থবছরে নিট মুনাফা ৩১ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ২৮ দশমিক ৫৩ ট্রিলিয়ন ইয়েনে উন্নীত হয়েছে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে জাপানিজ মুদ্রা ইয়েনের দরপতন হওয়ায় লাভ বেড়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোর।
বছরে লাভ বাড়লেও জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে নিট মুনাফা নিম্নমুখী ছিল। এর প্রভাব পড়েছে জাপানের শিল্পোৎপাদন খাতেও। করোনা মহামারী থেকে পুনরুদ্ধারে নেতৃস্থানে ছিল শিল্পোৎপাদন খাত। সংশ্লিষ্ট খাতে নিট লাভ ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ কমে ৩ দশমিক ৯০ ট্রিলিয়ন ইয়েনে নেমে এসেছে।
এছাড়া জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে পরিবহন খাতে নিট মুনাফা ৩৬ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। একই পরিস্থিতি দেখা গেছে ইস্পাত উৎপাদনকারী খাতেও। ওই খাতে নিট মুনাফা কমেছে ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ। কাঁচামালের ঊর্ধ্বমূল্যের কারণে সব থেকে প্রভাব পড়ে খাদ্যের ওপর। সফটব্যাংক গ্রুপের নিট মুনাফা ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬৪ হাজার ৯০৩০ কোটি ইয়েনে।
এসএমবিসি নিক্কো সিকিউরিটিজের কৌশলবিদ হিকারু ইয়াসুদা বলেন, চীনে করোনা ফলে লকডাউনের কারণে সরবরাহ সংকট দেখা দিয়েছে। এতে করে অটোমোবাইল প্রস্তুতকারকদের উৎপাদন কমেছে। ফলে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর নিট লাভ কমেছে।
এদিকে প্রথম প্রান্তিকে বিক্রি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর ৭ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। এর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বিক্রি বেড়েছে ১১ দশমিক ৪ শতাংশ। যদিও ডলারের বিপরীতে দুর্বল ইয়েনের মান ও কাঁচামালের ঊর্ধ্বমূল্যের কারণে এর শিকার হয়েছে জাপানের দেশীয় সংস্থাগুলো।
করোনা মহামারীর ভয়াবহতা কাটিয়ে উঠে সবেমাত্র ব্যবসা পুনরুদ্ধার শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এরই মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়াল ইউক্রেন সংকট। এর ধারাবাহিকতায় কাঁচামালের দামের ঊর্ধ্বমুখিতা অব্যাহত রয়েছে।