এতদিন জানা গিয়েছিল চার হাজার চারশো কোটি ডলারের বিনিময়ে মাস্ক টুইটার কিনে নেবেন। এসব নিয়ে আলোচনার মধ্যেই টুইটারে ভুয়া অ্যাকাউন্টে যে হিসাব পাওয়া যাচ্ছিল তা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন মাস্ক। কারণ, যে হিসাব পাওয়া যাচ্ছিল বাস্তবে তার চেয়ে বেশি ভুয়া অ্যাকাউন্ট রয়েছে টুইটারে।
সোমবার এ প্রসঙ্গে মাস্ক বলেন, যেমন দাবি করা হয়েছিল, বাস্তবে যদি কোনও কিছু সেই দাবির চেয়েও নিম্নমানের হয়, তা হলে নিশ্চয়ই আপনি এক দাম দিতে রাজি হবেন না।
মাস্কের দাবি ছিল, তিনি মানুষকে মত প্রকাশের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চান। তাই সর্বাগ্রে প্রয়োজন ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা। কিন্তু এ নিয়ে টুইটার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মাস্কের মতবিরোধ হয়।
সাম্প্রতিক খবরে জানানো হয়, ৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মাস্ক। তবে তিনি এখন আর আগের মতো টুইটার কেনার বিষয়ে আগ্রহী নন। টুইটার কিনতে যে অর্থ প্রয়োজন সে জন্য তাকে বিভিন্ন ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিতে হচ্ছে। এখন তিনি ফেক ও স্প্যাম অ্যাকাউন্ট নিয়ে অভিযোগ তুলছেন। তার এই কথা জানানোর পর এক ধাক্কায় শেয়ার বাজারে টুইটারের দাম ২৫ শতাংশ পড়ে গেছে
যদিও ক’দিন আগেই টুইটার জানিয়েছিল যে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ফেক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা মোট ইউজারের শতকরা পাঁচ ভাগেরও কম। তবে সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাচ্ছেন মাস্ক। শেষ পর্যন্ত যদি মাস্ক টুইটার না কিনেন তাহলেও তাকে অন্তত এক বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে টুইটারকে। যদিও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ডান আইভেজ বলছেন, মাস্ক মূলত নতুন খেলা খেলতে চাচ্ছেন। খুব সম্ভবত এই চুক্তি বাতিলের ভয় দেখিয়ে দরকষাকষি করতে চাইছেন তিনি। ৪৪ বিলিয়ন ডলার খরচকে তিনি হয়তো বাড়াবাড়ি ভাবছেন। আর এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসলে তাকে এক বিলিয়ন ডলার হারাতে হবে। ভবিষ্যতে টুইটারের মালিকানা নিয়ে কী হতে চলেছে তার কোনো নির্দিষ্ট উত্তর এখন আর নেই।