মার্চের তুলনায় যা ৫ দশমিক ৭ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৪ শতাংশ কম। একই সঙ্গে তা ২০১৯ সালের জানুয়ারির পর থেকে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমেছে। এ নিয়ে টানা তিন মাস এফএওর ফুড প্রাইস ইনডেক্সে নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। খবর এফএও।
নভেল করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারীতে রূপান্তরিত হওয়ার পর থেকেই এফএওর খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক মূল্যসূচকে টানা মন্দা ভাব বজায় রয়েছে।
গত ফেব্রুয়ারি থেকে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক দাম ক্রমেই কমছে। এপ্রিলে প্রায় সব ধরনের খাদ্যপণ্যের মূল্যে ব্যাপক পতন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে চিনির দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। তবে খাদ্যশস্যের দাম তুলনামূলক কম হারে কমেছে।
এফএওর ফুড প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী, এপ্রিলে খাদ্যশস্যের গড় মূল্যসূচক দাঁড়িয়েছে ১৬৪ পয়েন্টে, আগের মাসের তুলনায় যা ৫ পয়েন্ট কম। আগের মাসের তুলনায় কমলেও পণ্যটির দাম ২০১৯ সালের একই মাসের তুলনায় এখনো বাড়তির দিকে রয়েছে।
আগের বছরের একই মাসের তুলনায় খাদ্যশস্যের দাম বেড়েছে ৪ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪ শতাংশ। বিশ্ববাজারে গম ও চালের মূল্যে চাঙ্গা ভাব বজায় থাকায় এ সময় খাদ্যশস্যের বাজার বড় ধরনের পতনের হাত থেকে রেহাই পেয়েছে।
এপ্রিলে গমের গড় মূল্য আগের মাসের তুলনায় ২ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের জেরে দেশে দেশে খাদ্য নিরাপত্তার আশঙ্কা জোরালো আকার ধারণ করে। বিশ্বের শীর্ষ গম রফতানিকারক দেশ রাশিয়া অভ্যন্তরীণ বাজার সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পণ্যটি রফতানিতে নির্দিষ্ট কোটা বেঁধে দেয়।
তবে পণ্যটির চাহিদা ঊর্ধ্বমুখী থাকায় ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশটি গমের যে রফতানি কোটা বেঁধে দিয়েছিল, এক মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই তা শেষ হয়ে যায়। ফলে মাসের কয়েকদিন হাতে থাকতেই খাদ্যপণ্যটির রফতানি পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করে দেশটি। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে গমের সরবরাহ হ্রাস পাওয়ায় দাম ব্যাপক হারে বেড়ে যায়।