এতে করে বিপাকে পড়েছেন বন্দরের আমদানি, রফতানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সদস্যরা। ফলে আর্থিক কষ্টে একদিকে যেমন মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা, অন্যদিকে বন্দর থেকে সরকারের রাজস্ব আহরণ কমেছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারত সরকার গত ২৪ মার্চ থেকে লকডাউন ঘোষণা করে। এর ফলে বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। তবে বন্দরের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম চালু ছিল। মাঝে একদিন বিশেষ ব্যবস্থায় ভারত থেকে আটকে পড়া কিছু পণ্য বন্দরে প্রবেশ করে।
পরে ২৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি ও পরে লকডাউন ঘোষণা করায় দেড় মাসের মতো সময় ধরে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানি বাণিজ্যসহ বন্দরের ভেতরের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গেছে, হিলি স্থলবন্দরে ১০০-এর বেশি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সদস্য রয়েছেন। আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় যারা প্রত্যেকেই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। একদিকে অফিসের ভাড়া থেকে শুরু করে কর্মচারীদের বেতন দিতে পারছেন না, অন্যদিকে আয় না থাকায় নিজেরাও মানবেতন জীবনযাপন করছেন।
এ পরিস্থিতিতে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ভারতীয় রফতানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের পণ্য রফতানির অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিলেও আপাতত কোনো ফলপ্রসূ সিদ্ধান্তের দেখা মিলছে না। যদিও বেনাপোলসহ দেশের অন্যান্য বন্দর দিয়ে সীমিত পরিসরে পণ্য আমদানি-রফতানি শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় হিলি স্থলবন্দর দিয়েও সীমিত পরিসরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন জানান, বন্ধের আগে আমদানীকৃত পণ্যের বেশির ভাগই বাকিতে বিক্রি করা হয়েছে। কিন্তু এখন আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে বকেয়া টাকা ফেরত পাচ্ছেন না আমদানিকারকরা। এতে করে শত শত কোটি টাকা মার্কেটে বকেয়া পড়ে রয়েছে। যার কারণে আমদানিকারকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে রয়েছেন।