ওয়ার্ল্ডওমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে নতুন করে ২৪ হাজার ৯৮৬ জন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। সবমিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ লাখ ৪৬ হাজার ৭৭১।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর চেয়ে করোনায় সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের সবকটি অঙ্গরাজ্যেই এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।
করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দেশটির নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য। অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের তুলনায় সেখানেই আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা সবচেয়ে বেশি।
নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৪০৮ জন। অপরদিকে এ অঙ্গরাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৬ হাজার ৭৭১ জন।
নিউইয়র্কের পরে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী নিউ জার্সিতে। এ রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার ৫২৮। আর মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ১১৭ জনের।
নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সির পর সংক্রমণের হিসাবে তালিকার উপরে রয়েছে ম্যাসাচুসেটস, ইলিনয়, ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্যানসেলভেনিয়া, মিশিগান ও ফ্লোরিডা।
এদিকে সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তার শরীরে করোনার উপস্থিতি ধরা পড়েছে। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিবারের এক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা। এই ঘটনার পরেই ট্রাম্প জানিয়েছেন, এখন থেকে প্রতিদিন করোনার টেস্ট করাবেন তিনি।
এরপর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভানকা ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সহকারী। এ নিয়ে হোয়াইট হাউসের অন্তত তিন কর্মীর শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেল।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভানকা ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সহকারীর করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে। তবে গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ওই কর্মকর্তা প্রেসিডেন্ট কন্যার কাছাকাছি যাননি।
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন বিশ্ব মহামারিতে রূপ নিয়েছে। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৪০ লাখ ৯৭ হাজার ৫১৩ জন আক্রান্ত হয়েছে। আর এতে বিশ্বব্যাপী প্রাণ হারিয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার ১৬৭ জন। এদিকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৪ লাখেরও বেশি মানুষ।