ভারতের সরকারি সমীক্ষার প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চলতি বছর জানুয়ারি-মার্চে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৪.১ শতাংশ। গত বছর থেকেই জিডিপি বৃদ্ধির হার কমা শুরু হয়েছিল। গত বছর জুলাই-সেপ্টেম্বরে বৃদ্ধির হার ৮.৪ শতাংশ ছিল। কিন্তু গত সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর তা কমে দাঁড়ায় ৫.৪ শতাংশে।
অর্থনীতিবিদদের একাংশ ২০২২-এর প্রথম তিন মাসে ৪ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। তা কার্যত মিলে গেছে। তবে আশার কথা এপ্রিল মাসে বৃদ্ধির হার বেড়ে ৭.৮ হয়েছে।
ভারতের অর্থমন্ত্রণালয়ের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরণ মঙ্গলবার আর্থিক বৃদ্ধি তথ্য প্রকাশের পরে বলেন, স্লথ আর্থিক বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণেই এমন পরিস্থিতি হয়ছে।
করোনা মহামারি এবং তারপর ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে অনেক দেশেই দ্রব্যমূল্য এবং মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়েছে। ইউরোপের প্রায় সব দেশের অর্থনীতিই জোড়া আঘাতে প্রাভাবিত। বছর শেষে এর প্রভাবে অর্থনীতি আরও বিপর্যস্ত হতে পারে- এমন আশঙ্কাও রয়েছে। ২০২২ সালের শেষ নাগাদ গোটা ইউরোপে মুদ্রাস্ফীতি সার্বিকভাবে ৬ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা তাদের। মে মাসে জার্মানিতে মুদ্রাস্ফীতির হার ৭.৯-এ পৌঁছেছে।
বিবিসি বলছে, বিভিন্ন দেশে মূল্যস্ফীতির যে সরকারি হিসেব দেয়া হচ্ছে, বাস্তবে সেটি তার চেয়েও বেশি মনে করা হচ্ছে। এবং এই মূল্যস্ফীতি অব্যাহত রয়েছে, এর গতি ধীর হ্ওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। প্রশ্ন হচ্ছে, মূল্যস্ফীতি কোথায় গিয়ে ঠেকবে? দ্রব্যমূল্য কি বাড়তেই থাকবে? অর্থনীতিবিদদের অনেকেই মনে করছেন, একটি অর্থনৈতিক মন্দার ভেতর দিয়েই এ মূল্যস্ফীতির অবসান হতে পারে। বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এরই মধ্যে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার জন্য সুদের হার বাড়ানো শুরু করেছে।