সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার নুরুদ্দিন রাশেদ বলেন, ‘শনিবার সারা রাত এবং আজ এখন পর্যন্ত আমার সেবা দিয়ে চলেছি। দুপুর পর্যন্ত মৃতর সংখ্যা বেড়ে ৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমি শুধু লাশের পর লাশ গুনে চলেছি। এখন পর্যন্ত ৪৩ জনের লাশ পেয়েছি আমরা। বেশিরভাগই পরিচয় মেলেনি। আরো অসংখ্য লাশ পাওয়া যাবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। ’
এর আগে গতকাল শনিবার রাতে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসংলগ্ন সীতাকুণ্ডের শীতলপুর এলাকায় ৭০ কানি জায়গার ওপর কনটেইনার ডিপোটি অবস্থিত।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোনাইছড়ির কদমরসুল এলাকায় অবস্থিত ওই কনটেইনার ডিপোতে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। অল্পক্ষণের মধ্যেই তা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কুমিরা ও সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। রাত ১১টার দিকে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। তখন হঠাৎ করে একটি কেমিক্যালবোঝাই কনটেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।