গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর চেয়ে করোনায় সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রের। দেশটিতে ১৩ লাখ ৬৬ হাজার ৭৫৩ জন করোনায় আক্রান্ত। আর মৃত্যু হয়েছে ৮০ হাজার ৭৫৭ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুতে শীর্ষে রয়েছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের সবকটি অঙ্গরাজ্যেই এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।
করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দেশটির নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য। অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের তুলনায় সেখানেই আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা সবচেয়ে বেশি। নিউইয়র্কে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৪০৬ জন। অপরদিকে এ অঙ্গরাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৬ হাজার ৮১২ জন।
করোনায় মৃতের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে যুক্তরাজ্যের অবস্থান। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত ২ লাখ ২০ হাজারের বেশি রোগীর মধ্যে ৩১ হাজার ৯৩০ জন মারা গেছে। গত মঙ্গলবার মৃত্যুতে ইতালিকে টপকে যায় যুক্তরাজ্য।
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের দিক দিয়ে সবার উপরে স্পেন। দেশটিতে ২ লাখ ৬৪ হাজার ৬৬৩ জন প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এতে মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ৬২১। করোনা সংকটের কারণে স্পেনে আরোপিত কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করা হলেও লকডাউনের মেয়াদ চতুর্থ দফায় আগামী ২৪ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে দুই মাসের বেশি সময় ধরে করোনার প্রাদুর্ভাবে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে ইতালি। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালিতেই সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ১৯ হাজারের বেশি মানুষ। অপরদিকে মারা গেছে ৩০ হাজার ৫৬০ জন। ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ লাখ ৫ হাজার ১৮৬ জন।
লকডাউনের কারণে দেশটির অর্থনীতি ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়েছে। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতেই লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। ইতালিতে লকডাউন শিথিলের পর প্রায় ৪৪ লাখ মানুষ কাজে ফিরেছে। ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে লকডাউন শিথিল করেছে ইতালি।
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের দিক দিয়ে পঞ্চম স্থানে রাশিয়া। দেশটিতে ২ লাখ ৯ হাজার ৬৮৮ জন প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এতে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৯১৫ জনের।