রফতানি স্থগিত হওয়া আইটেমগুলোর মধ্যে মাস্ক, গাউন, টেস্ট কিট ও ভেন্টিলেটরের মতো সরঞ্জাম রয়েছে। গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, রফতানিকৃত সামগ্রীর মান বাড়াতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রবিবার থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাধারণ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এই ছয় সরঞ্জামের বাইরে অন্যান্য মেডিক্যাল সামগ্রী রফতানিতে কোনও স্থগিতাদেশ নেই।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের পরিচালক লি বিন দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় দুর্বলতার স্বীকারোক্তি দেওয়ার পরই সরকারের নতুন এ সিদ্ধান্তের কথা জানালো গ্লোবাল টাইমস।
এর আগে করোনাভাইরাস মহামারি ঠেকাতে চীনের উৎপাদিত কিছু চিকিৎসা সামগ্রী ফিরিয়ে দেয় কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ। স্পেন, তুরস্ক ও নেদারল্যান্ডসের কর্মকর্তারা জানান, বেইজিং-এর পাঠানো কোভিড-১৯ পরীক্ষার কয়েক লাখ কিট ও মেডিক্যাল মাস্ক মান সম্পন্ন নয়। এগুলো ত্রুটিপূর্ণ।
গত মার্চে নেদারল্যান্ডসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘোষণা দেয়, তারা যে ৬ লাখ ফেস মাস্ক বিতরণ করেছিল সেগুলো ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। এই মাস্কগুলো ২১ মার্চ দেশটিতে পৌঁছায় এবং এগুলো একটি চীনা কোম্পানি তৈরি করেছে। সেগুলো মুখে ঠিকমতো পরা যাচ্ছিল না এবং এর ফিল্টারও যথাযথভাবে কাজ করছিল না। ফলে চীন থেকে আরও যেসব চালান আসার কথা ছিল সেগুলো স্থগিত করা হয়। যা মজুদ আছে তা-ও আর ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
চীনা কোম্পানির কাছ থেকে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার কিট আমদানি করে একই সমস্যায় পড়েছে স্পেন। কর্মকর্তারা জানান, অন্তত ৬০ হাজার কিট সঠিকভাবে রোগীর দেহে ভাইরাস রয়েছে কিনা তা শনাক্ত করতে পারেনি। তুরস্কও জানিয়েছে, চীন থেকে আমদানি করা কিছু কিট সঠিকভাবে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করতে পারছে না।
চীনের কাছে দেওয়া করোনাভাইরাসের প্রায় পাঁচ লাখ র্যাপিড টেস্টিং কিটের আদেশ বাতিল করে ভারত। এসব কিটে ত্রুটি পাওয়ায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি দিল্লির। বিশ্বজুড়ে এমন সমালোচনার মধ্যেই শেষ পর্যন্ত মানোন্নয়নের জন্য মাস্কসহ ছয় রকমের মেডিক্যাল সরঞ্জাম রফতানি স্থগিতের ঘোষণা দিলো বেইজিং।