বিবিসি জানায়, চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার থেকে লকডাউনের অধিকাংশ বিধিনিষেধ তুলে নিচ্ছে নিউজিল্যান্ড। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের মাধ্যমে বলতে গেলে অনেকটা পুরোপুরিই তুলে নেয়া হচ্ছে লকডাউন। তবে পুরো মাসে ধাপে ধাপে এই প্রক্রিয়া চলবে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন বলেন, এই মুহূর্তে মাত্র ১৯ জন রোগী আছেন পুরো দেশে। এর মধ্যে শুধু দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তিনি বলেন, আমরা ভাইরাসটির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। এখন আমরা এমন অবস্থানে চলে এসেছি আমাদের অর্থনীতি সচল করতে সব বিধি নিষেধ তুলে নেয়া যায়।
জেসিন্ডা জানান, বৃহস্পতিবার থেকে খুলে রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে, সিনেমা, শপিং সেন্টারগুলো খুলে দেয়া হবে। জিম, খেলার মাঠগুলোও উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে যাচ্ছে। কর্মীদের কাজে যোগ দিতে আহ্বান জানান জেসিন্ডা।
স্কুল ও বারও খুলে দেয়া হচ্ছে। ১৮ মে থেকে স্কুলগুলো পুনরায় চালু হয়ে যাবে আর ২১ মে থেকে খুলে যাবে বারগুলো।
তবে কোথাও জমায়েতের ক্ষেত্রে কিছু বিধি নিষেধ এখনও মানতে হবে। জেসিন্ডা জানান, ১০ জনের চেয়ে বেশি কোথাও ভিড় জমানো যাবে না।
ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সক্ষম হওয়ায় এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে নিউজিল্যান্ড করোনা যুদ্ধে জয়ী বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন জেসিন্ডা।
তখনই কিছু ক্ষেত্রে লকডাউন শিথিল করে দেয়া হয়। সীমিত আকারে চালু হয় ডেলিভারি ভিত্তিতে খাবারের দোকান, জরুরি সেবার বাইরেও কিছু ব্যবসায়িক খাত, স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কিত অন্যান্য কর্মকাণ্ড।
প্রসঙ্গত, শুরু থেকে কঠোর ও কার্যকরি ব্যবস্থা নেওয়ায় করোনা প্রতিরোধে দারুণ সফলতা দেখায় নিউজিল্যান্ড। দেশটিতে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা একেবারে নাই বললেই চলে। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ১৪৭ জন ব্যক্তি। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক হাজার ৩৮৬ জন। তবে মারা গেছেন ২১ জন।