শুক্রবার (১৭ জুন) মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গণপরিবহনের স্বল্পতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত যানবাহনের ব্যবস্থা করা কঠিন হয়ে যাওয়ায় অফিসে সশরীরে কর্মী উপস্থিতি ব্যাপকভাবে কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারি কর্মীরা বাসায় থেকেই অফিসের কাজ করতে পারবেন। কেবল চিকিৎসার মতো জরুরি সেবাদানকারীদের জন্য সশরীরে অফিস ব্যবস্থা চালু থাকবে।
জ্বালানি খরচ বাঁচাতে এর আগে সপ্তাহে তিন দিন ছুটি, অর্থাৎ চার কর্মদিবস ব্যবস্থা চালু করেছিল শ্রীলঙ্কা। আগামী তিন মাস এই ব্যবস্থা কার্যকর থাকবে বলে জানা হয়েছিল।
গত বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার জ্বালানি মন্ত্রী কাঞ্চনা উইজেসেকেরা জানিয়েছিলেন, দেশটিতে আর মাত্র পাঁচদিনের জ্বালানি অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাভাবে ভবিষ্যতে চালানের জন্য ঋণপত্রও খুলতে পারছে না দেশটি। তাদের কাছে এই মুহূর্তে ৭২ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার পাওনা রয়েছে জ্বালানি সরবরাহকারীদের।
সাংবাদিকদের কাছে কাঞ্চনা উইজেসেকেরা বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা সমস্যার কারণে আমাদের জ্বালানি সংগ্রহ কঠিন হয়ে পড়েছে। দেশে আগামী ২১ জুন পর্যন্ত চলার মতো পেট্রল-ডিজেলের মজুত রয়েছে। আমরা যদি অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এবং জ্বালানি মজুত বন্ধ না করি, তাহলে স্টক দ্রুত ফুরিয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা আগামী তিন দিনের মধ্যে পেট্রলের একটি চালান এবং পরবর্তী আট দিনের মধ্যে আরও দুটি পৌঁছানোর আশা করছি।