রোববার (৩ জুলাই) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে সরকারি এ সংস্থাটি। এরপর থেকে প্রতি মাসে দাম সমন্বয় করছে বিইআরসি। এর আগে, জুনে দাম কমেছিল ৯৩ টাকা, আর আগের মাসে কমেছিল ১০৪ টাকা।
জুলাই মাসের জন্য সমন্বয় করা দামের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বেসরকারি পর্যায়ে জুলাই মাসের জন্য মূসকসহ প্রতি কেজি এলপি গ্যাসের দাম ১০৪ টাকা ৫২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে হিসাবে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজির মূসকসহ সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হবে ১ হাজার ২৫৪ টাকা। ফলে জুনের তুলনায় জুলাই মাসে গ্রাহককে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি কিনতে ১২ টাকা বেশি পরিশোধ করতে হবে।
ঘোষণা অনুযায়ী, মোটরগাড়ির জন্য অটো-গ্যাসের দামও বর্তমানে মূসকসহ প্রতি লিটার ৫৭ টাকা ৯১ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৫৮ টাকা ৪৬ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তি মূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি।
সৌদি সিপি অনুসারে জুলাই মাসের জন্য প্রোপেন ও বিউটেন উভয়ের ঘোষণা করা দাম টনপ্রতি ৭২৫ ডলার, মিশ্রণ অনুপাত ৩৫:৬৫ বিবেচনায় জুলাইয়ের জন্য এ নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রতি কেজি এলপিজির সর্বোচ্চ মূল্য ১০৪ টাকা ৫২ পয়সা ধরে জুলাই মাসে সাড়ে ৫ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৫৭৫ টাকা, ১২ কেজির দাম ১২৫৪ টাকা, সাড়ে ১২ কেজির দাম ১৩০৭ টাকা, ১৫ কেজির দাম ১৫৬৮ টাকা, ১৬ কেজির দাম ১৬৭৩ টাকা, ১৮ কেজির দাম ১৮৮১ টাকা, ২০ কেজির দাম ২০৯১ টাকা, ২২ কেজির দাম ২২৯৯ টাকা, ২৫ কেজির দাম ২৬১২ টাকা, ৩০ কেজির দাম ৩১৩৬ টাকা, ৩৩ কেজির দাম ৩৪৪৯ টাকা, ৩৫ কেজির দাম ৩৬৫৮ টাকা এবং ৪৫ কেজির দাম চার হাজার ৭০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে উৎপাদন পর্যায়ে ব্যয়ের পরিবর্তন না হওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির উৎপাদিত এলপিজির দাম পরিবর্তন করা হয়নি।