গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, নিউ সাউথ ওয়েলসে রোববার (৩ জুলাই) দুই শিশুর শরীরে এই রোগ শনাক্ত হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ এক শিশুকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। অপর শিশুটিও নিউ সাউথ ওয়েলসের হাসপাতালে ভর্তি আছে। ক্রিটিক্যাল কেয়ারে থাকা দুই বছরের আক্রান্ত শিশুকে ইতিমধ্যেই অ্যান্টিটক্সিন দেওয়া হয়েছে। অ্যান্টিবায়োটিক এবং অক্সিজেনের সাপোর্টও দেওয়া হবে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, থ্রোট ডিপথেরিয়া ব্যাকটেরিয়াজনিত ইনফেকশন। গলায় টনসিলে মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলে এই ইনফেকশন। আক্রান্তদের গলায় রাতারাতি একটি ধূসর-সাদা পাতলা আস্তরণ তৈরি হয়। যার কারণে আক্রান্তদের খাদ্যবস্তু চিবিয়ে বা গিলে খেতে সমস্যা সৃষ্টি করে। কেবল খাবারে নয়, এই রোগে আক্রান্তদের নিঃশ্বাস নিতেও সমস্যা হয়।
অস্ট্রেলিয়ার নর্থ কোস্ট পাবলিক হেলথ ইউনিট দুই শিশু এই রোগে আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করেছে। আক্রান্ত দুই শিশুর একজনের বয়স দুই এবং অপরজনের ছয়।
নিউ সাউথ ওয়েলসের জনস্বাস্থ্য বিভাগ জানাচ্ছে, এই দুই শিশুর গলা ইতোমধ্যেই অস্বাভাবিকভাবে ফুলে গেছে। হৃদযন্ত্র, মাংসপেশী এবং নার্ভেও প্রভাব ফেলেছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, থ্রোট ডিপথেরিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে ১০ শতাংশ অতি সংকটজনক হতে পারে।
জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়ার ওই দুই শিশুকে ডিপথেরিয়ার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি। সে কারণে তারা যেমন আক্রান্ত হয়েছে, তেমনি তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও এই রোগ সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
নর্থ কোস্টের জনস্বাস্থ্য পরিচালক পল ডগলাস বলেন, আমাদের দেশে শিশুদের টিকা দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাই ডিপথেরিয়ার মতো রোগের সম্ভাবনা এখানে কম। কিন্তু, এই ঘটনা আমাদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। কোনো শিশু জন্মের ছয় সপ্তাহের মধ্যেই বিনামূল্যে ডিপথেরিয়ার ভ্যাকসিন পেয়ে থাকে।