তিনি বলেন, ওয়াশিংটন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তহবিল যোগান বন্ধ করে দিয়ে বৈশ্বিক করোনা মহামারীকে দীর্ঘায়িত করছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে জানা গেছে, তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেকের এক বৈঠকে জাতিসংঘে চীনা রাষ্ট্রদূত ওয়াং কুন এমন মন্তব্য করেন।
ভিয়েনায় ওপেকের প্রধান কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে কেন্দ্র করে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের আরও অবনতির আভাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, এই মুহূর্তে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কোনো কথা বলার আগ্রহ আমার নেই।
এরপর আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে বললেন, তিনি বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতির দেশ চীনের সঙ্গে সম্পর্ক কাটছাঁটও করতে পারেন।
ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্ককে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, রোগ নিয়ন্ত্রণে চীনের ব্যর্থতায় আমি ভারী অসন্তুষ্ট।
জানুয়ারিতে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে এই মহামারী একটা বিরক্তিকর ছায়াও ফেলেছে। তবে ওই চুক্তিকে বড় সফলতা হিসেবে এর আগে স্বাগত জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।
বৈশ্বিক জ্বালানি মার্কেট স্থিতিশীল রাখতে চেষ্টা করায় ওপেককে ধন্যবাদ দিয়েছেন ওয়াং।
কিন্তু তার বক্তব্যের অধিকাংশই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অচলাবস্থা নিয়ে। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও চীনকে বিতর্কিত করতে ও দোষারোপের খেলা চালিয়ে যেতে যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে।
‘যুক্তরাষ্ট্রের এমন আচরণে মহামারীর রোধে আন্তর্জাতিক চেষ্টা ও সহযোগিতা কেবল ব্যহত ও বাধাগ্রস্তই হয়নি, মহামারীকে কৃত্রিমভাবেই দীর্ঘায়িত করা হয়েছে।