শনিবার (৯ জুলাই) রাজধানী কলম্বোতে বিক্ষোভ-সমাবেশে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। এক পর্যায়ে প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ঘিরে ফেলেন বিক্ষোভকারীরা।
দেশটির শীর্ষ এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে আন্দোলনের মুখে কার্যালয় ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে তিনি ভালো আছেন বলে জানা গেছে।
দীর্ঘদিন ধরেই অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে থাকা শ্রীলঙ্কার জনগণ আবারও ফুঁসে উঠেছে। অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলার ঢেউ আছড়ে পড়েছে রাজনীতিতেও। এর আগে জনগণের ক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে ও প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার ভাই। তাতেও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। এবার দেশটির প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ চাইছেন তারা।
শ্রীলঙ্কার একটি বেসরকারি সম্প্রচারমাধ্যম সিরাসা টিভিতে প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায় যে, এক সময়ে কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত প্রেসিডেন্ট প্যালেসে ঢুকে পড়ছে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা।
অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক গোলযোগের মধ্যে পড়ে নাভিশ্বাস উঠে গেছে শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষের। খাদ্যপণ্যের আকাশচুম্বী দাম, লোডশেডিং, জ্বালানি তেলের সংকট, পানি সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে দেশটিতে। দৈনন্দিন জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের।
২৬ বছর ধরে সামরিক অভিযান পরিচালনার পর শ্রীলঙ্কার সামরিক বাহিনী ২০০৯ সালের তামিল টাইগারদের পরাজিত করার মাধ্যমে গৃহযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটাতে সক্ষম হয়। আর সেই গৃহযুদ্ধে বিজয় আসে প্রধানমন্ত্রী এবং তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসের শাসনকালে। পরবর্তীতে আবারও নির্বাচনে জয়ী হয় এই পরিবার। ফলে দীর্ঘমেয়াদে শাসনভার পরিচালনার কারণে দুর্নীতিসহ নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।