রোববার (১০ জুলাই) সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান ঈদ জামাতে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মেয়র এ তথ্য জানান।
ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে যে কোরবানি দেওয়া হবে, আমি সকলকে অনুরোধ করব খুব সুষ্ঠুভাবে, পরিবেশ বজায় রেখে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে যেন আমরা কোরবানি দিতে পারি। এরপর আমরা দুই মেয়র মিলে, ঢাকা শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার জন্য সকল বর্জ্য অপসারণের কার্যক্রম দুপুর ২টা থেকে শুরু করব।
ঈদ জামাতের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে শোকরিয়া আদায় করছি। অত্যন্ত সুষ্ঠু, সুন্দর ও সন্তোষজনক পরিবেশে আমরা এই ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করতে পেরেছি।
শেখ তাপস এ সময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ দেশবাসী এবং ঢাকাবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা দুই মেয়র প্রধান বিচারপতিসহ প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লির সাথে একসাথে নামাজ আদায় করেছি।
বর্জ্য অপসারণে সকলের সহযোগিতা কামনা করে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি সবাইকে অনুরোধ করব, ঢাকাবাসীকে অনুরোধ করব আপনারা আমাদেরকে সাহায্য করুন। আপনারা নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্যটা রেখে দিন। আমাদের সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছে। জনগণের সহযোগিতা পেলে, আমরা আশা করি খুব দ্রুত সকল বর্জ্য অপসারণ করতে পারব।
এর আগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন। জামাত পরবর্তী এক বিশেষ মোনাজাতে জাতীয় মসজিদের খতিব রুহুল আমিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ জাতির পিতার পরিবারের সকল সদস্যের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। এ সময় তিনি দেশ ও জাতির কল্যাণে আল্লাহপাকের রহমত প্রার্থনা করেন।
প্রধান ঈদ জামাতে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ সরকার ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ নামাজ আদায় করেন। নামাজ পরবর্তী দুই মেয়র একে অপরের সাথে এবং প্রধান বিচারপতিসহ উপস্থিত অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে কোলাকুলি করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, সচিব আকরামুজ্জামানসহ করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।