শুক্রবার (১৫ জুলাই) জনজীবনের ঝুঁকি এড়াতে এ সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটিশ আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অফিস বলছে, জীবনের ঝুঁকি এড়াতে দৈনন্দিন রুটিন পরিবর্তন করতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে রেল চলাচলে গতি কমানো, স্কুলের সময়সীমা কমিয়ে আনা ও হাসপাতালগুলোতে বেশ কিছু এপয়েন্টমেন্ট বাতিল করা হয়েছে।
আবহাওয়ার অফিসের সতর্কবার্তার পর যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যবিষয়ক নিরাপত্তা সংস্থাগুলো তাপপ্রবাহের চতুর্থ ধাপে সতর্কতা জারি করেছে। গরমে মানুষ অসুস্থ হওয়ার পাশাপাশি মৃত্যুও হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) নেতারা শুক্রবার সন্ধ্যায় সতর্ক করে বলেন, অ্যাম্বুলেন্সের আরও বেশি চাহিদা থাকবে এবং গরম আবহাওয়ায় গুরুতর অসুস্থ রোগীরা ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। একটি চিঠিতে তারা বলেছে যে অ্যাম্বুলেন্সগুলো রোগীদের তোলার আগে ৩০ মিনিটের বেশি জরুরি বিভাগের বাইরে অপেক্ষা করা উচিত নয়।
আবহাওয়া অফিসের মুখপাত্র গ্রাহাম ম্যাজ বলেছেন যে ‘ এটি অত্যন্ত গুরুতর পরিস্থিতি’, তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছানোর ৫০ ভাগ শঙ্কা রয়েছে।
যুক্তরাজ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড করা তাপমাত্রা ছিল ২০১৯ সালে কেমব্রিজে ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। বিবিসির আবহাওয়া উপস্থাপক ম্যাট টেলর বলেছেন যে এখন যুক্তরাজ্যে তাপম্রাতা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পৌঁছানোর শঙ্কা রয়েছে। সূত্র: বিবিসি