সোমবার (১৮ জুলাই) বিনিয়োগ সীমার সমস্যাটি সমাধানে অর্থমন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যার অনুমোদন পেলেই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা জারি করা হবে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়োগ সীমা গণনায় বাজার দরের পরিবর্তে ক্রয় মূল্যকে বিবেচনায় নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিলো। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক তাতে সাড়াঁ দেয়নি। তবে নতুন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সেই সমস্যা সমাধান হবে বলে আশাবাদী ছিলেন বিনিয়োগকারীরা।
অবশেষে পুঁজিবাজারবান্ধব গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই বিনিয়োগ সীমার সমস্যাটি সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
দীর্ঘদিনের চাহিদা বিনিয়োগ সীমার সমস্যাটি সমাধানের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সঙ্গে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও ঘনিষ্ঠতায় নতুন গভর্নর শেয়ারবাজারের উন্নয়নে আরও পদক্ষেপ নেবেন বলে বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন।
বিনিয়োগকারীদের এই আশার পেছনে রয়েছে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম কমিশনে যোগদানের পর থেকেই শেয়ারবাজারের উন্নয়নে সাবেক সিনিয়র অর্থ সচিব আব্দুর রউফের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ। যাদের মধ্যে দেশের অর্থনীতির স্বার্থে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সর্ম্পক্য খুবই ভালো। যে কারনে বিএসইসি চেয়ারম্যানের ডাকে সহযোগিতার সর্বোচ্চ চেষ্টাও করেছেন আব্দুর রউফ। তবে তার গভর্নরের নিয়োগের মাধ্যমে আগের চেয়ে অনেক বেশি উপকৃত হবে শেয়ারবাজার।
আব্দুর রউফ তালুকদার সিনিয়র সচিব পদে থাকাকালীনই সর্বদা শেয়ারবাজারবান্ধব নেতৃত্ব প্রদান করেছেন। দেশের শেয়ারবাজারের ক্রমবর্ধমান বিকাশে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তিনি ‘বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ডেভেলপমেন্ট কনফারেন্স- ২০২১’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ও প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রেখে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
আব্দুর রউফ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারসহ অর্থনৈতিক বিভিন্ন খাতের সম্ভাবনা তুলে ধরার পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক যুক্তরাষ্ট্র ও সুইজারল্যান্ডে আয়োজিত রোড শো’তে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।