কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ জানিয়েছেন, শনিবার (৩১ জুলাই) প্রাণ হারান ত্রিশূরের ২২ বছরের যুবক। গত ২২ জুলাই সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ফিরেছিলেন তিনি। অসুস্থতার জন্য ভর্তি ছিলেন একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই শনিবার মৃত্যু হয় তার। মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে এরই মধ্যে যুবকের নমুনা কেরালার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছে।
গত ২২ জুলাই বাড়ি ফেরার পর তিনি সুস্থ ছিলেন। পাড়ার মাঠে ফুটবলও খেলেছিলেন। কিন্তু ২৬ জুলাই জ্বরে ভুগতে শুরু করেন। তখনই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাকে। যেখানে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। তবে শেষরক্ষা হল না। মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলে যে সমস্ত নিয়ম মেনে শেষকৃত্যু করতে হয়, সেভাবেই যুবকের সৎকার করে তার পরিবার। তিনি কার কার সংস্পর্শে এসেছিলেন, সেই তালিকাও তৈরি করা হচ্ছে।
ভারতে প্রথম এই কেরালা রাজ্যেই হানা দিয়েছিল মাঙ্কিপক্স। এখনও পর্যন্ত দেশটিতে চারজন আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। যার মধ্যে তিনজনই কেরালার।