ইউক্রেনে অবস্থিত ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র জাপোরিঝিয়ায় ফের গোলাগুলির কথা জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। বৃহস্পতিবারের ঘটনায় একের অপরকে দুষছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। উভয়পক্ষ জানিয়েছে, প্ল্যান্টের অফিস এবং ফায়ার স্টেশনে ১০ বার আঘাতের ঘটনা ঘটেছে।
এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নিয়ে পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রসি সতর্ক করে বলেন, এটি একটি ‘গুরুতর সময়’। আর জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেসে সতর্ক করে বলেছেন, এভাবে চলতে থাকলে বিপর্যয়ের দিকে যেতে পারে।
এদিকে ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ দলকে দ্রুত পরিদর্শনের জন্য অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।
এর আগে প্ল্যান্টের সুরক্ষায় আশপাশে একটি নিরস্ত্রীকরণ অঞ্চল গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছে সংঘর্ষকে বিপজ্জনক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন অ্যাখা দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক মুখপাত্র।
তবে এর বিরোধিতা করে জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার প্রতিনিধি বলেন, নিরস্ত্রীকরণ কোনও বিকল্প হতে পারে না, এতে উস্কানি এবং সন্ত্রাসী হামলায় পরিস্থিতিকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলবে।
বৃহস্পতিবার ঘটনায় এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের পারমাণবিক সংস্থা এনারহোয়াটম জানিয়েছে, রুশ হামলাকারীরা জাপোরিঝিয়া প্ল্যান্ট এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছাকাছি অঞ্চলে গোলাবর্ষণ করেছে। এতে বেশ কিছু জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গোলাগুলির কারণে কর্মীদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়া অসম্ভব ছিল। ফলে অভারটাইম করতে হয়েছে তাদের। তবে পরিস্থিতি ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেছে এনারহোয়াটম।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর থেকেই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে কয়েক দফা চেষ্টা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এতে ইউক্রেনীয় যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে রুশ বাহিনীর।
সূত্র: বিবিসি