মার্কিন শেয়ার বাজারের কঠোর বিধিমালার কথা উল্লেখ করে শেয়ারবাজার ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানায় চীনা কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার পৃথক বিবৃতিতে, চায়না লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পেট্রোচায়না, সিনোপেক, অ্যালুমিনিয়াম কর্পোরেশন অফ চায়না এবং সিনোপেক সাংহাই পেট্রোকেমিক্যাল জানিয়েছে যে, তারা নিউইয়র্ক শেয়ার বাজার থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করছে।
এদিকে জাপানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ্মাধ্যম এনআইচকে বলেছে, চীনা কোম্পানিগুলো নিজেদের হিসাব নিরীক্ষণের রেকর্ড প্রদর্শনে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। ফলে মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে সম্ভাব্য তালিকাচ্যুতির সতর্ক বার্তাও পেয়েছে চীনা কোম্পানিগুলো। এ কারণেই নিজেদের নাম প্রত্যাহার করেছে তারা।
অন্যদিকে তালিকাচ্যুতির সতর্কবার্তা পাওয়া বেসরকারি চীনা কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম অনলাইন পণ্য বিক্রেতা আলিবাবা গ্রুপ। যদিও এসব কোম্পানির বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু জানায়নি বাইডেন প্রশাসন।
বিদেশে যেসকল চীনা কোম্পানির শেয়ার বেচাকেনা হয় সেসকল কোম্পানির উপর নতুন করে নজরদারি জোরদার করছে বেইজিং।
শুক্রবার চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এই পাঁচটি কোম্পানির গৃহীত সিদ্ধান্ত বিদেশে তালিকাভুক্ত অন্যান্য চীনা কোম্পানির উপর প্রভাব ফেলবে না।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, এসব সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অর্থনীতির মধ্যে দূরত্ব আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তাইওয়ানকে কেন্দ্র করেই এ দ্বন্দ্বের সূত্রপাত।
এর আগে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি'র তাইওয়ান সফর নিয়ে নতুন করে দ্বন্দ্বে জড়ায় দেশও দু'টি। এরইমধ্যে তাইওয়ানকে ঘিরে ওই অঞ্চলে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন।
গত ২৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম শীর্ষস্থানীয় কোনো মার্কিন রাজনৈতিক নেতা দ্বীপটিতে পা রেখেছেন। তার সফরকে চীন 'চরম বিপজ্জনক' বলে আখ্যা দেয়। চীনা হুমকির মুখেই বিতর্কিত এই সফর শুরু করেন মার্কিন হাউজ স্পিকার।
ওই সফরের প্রতিবাদ জানাতে বেইজিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।