প্রতিবেদনে বলা হয়, অসুস্থতাজনিত কারণে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গত মাসেও হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন এই ধনকুবের।
বলা হয়, শেয়ার বাজারে বিনিয়োগে তিনি কখনও ভুল করতেন না। করোনা মহামরির সময় বিশ্বের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের যখন লোকসান হচ্ছিল, তখনও রাকেশের সম্পত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছিল। কয়েক দিন আগে তিনি একটি জুতা কোম্পানির শেয়ার কিনেছিলেন, সেটিও কয়েক দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ দরে পৌঁছে যায়। এক দিনে তিনি লাভ করেন ২২১ কোটি রুপি।
তার পৃষ্ঠপোষকতায় সম্প্রতি যাত্রা শুরু করে আকাসা এয়ারলাইন্স। তাদের ব্যবসায়িক পলিসি ছিল, বিভিন্ন রুটে অপেক্ষাকৃত সস্তায় বিমান পরিষেবা দেওয়া। তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
১৯৮৫ সালে স্টক মার্কেটে মাত্র পাঁচ হাজার রুপি দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করেছিলেন রাকেশ। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ১১ হাজার কোটি রুপি।
১৯৬০ সালের ৫ জুলাই হায়দরাবাদের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম রাকেশের। তার বেড়ে ওঠা মুম্বাইয়ে। সিডেনহ্যাম কলেজ অব কমার্স অ্যান্ড ইকোনমিক্স থেকে স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনা সম্পন্ন করার পর রাকেশের পরবর্তী গন্তব্য ছিল ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব ইন্ডিয়া। কলেজে পড়ার সময়েই তার আগ্রহ ছিল স্টক মার্কেট নিয়ে। এই ধারা তিনি পেয়েছিলেন তার বাবার কাছ থেকে। তার বাবা ছিলেন আয়কর বিভাগের কর্মকর্তা। আগ্রহী ছিলেন স্টক মার্কেট নিয়ে। এক পর্যায়ে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের দৌলতে হয়ে উঠেন কিংবদন্তি।