সাবেক এই অর্থমন্ত্রী পদে থাকাকালীন আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামগুলোতে আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করতেন।
আমেরিকার একটি রাইড শেয়ারিং কোম্পানির জন্য ট্যাক্সিচালকের কাজ করার পাশপাশি অবশ্য তিনি আমেরিকার যে শহরে থাকেন সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অফিগানিস্তান বিষয়ে শিক্ষা সংক্রান্ত পরামর্শ দেন, কলেজে লেকচার দেন।
শিক্ষকতা থেকে তিনি প্রতি সেমিস্টারে দুই হাজার ডলার আয় করেন। আফগানিস্তানের প্রথম প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির সহ-প্রতিষ্ঠাকারীও ছিলেন তিনি।
দামি সরকারি গাড়িতে চড়তেন তিনি। পেছনে থাকত নিরাপত্তাকর্মীদের বহর। গাড়ি থেকে নামার সময় দরজাটাও খুলে দিত অন্যরা! এ রকমই ছিল তার প্রতিদিনের জীবন। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস। এখন নিজেই গাড়িচালক।
ওয়াশিংটনের রাস্তায় রাস্তায় উবার চালিয়ে সংসার চালান। এভাবেই দিন কাটছে আফগানিস্তানের সাবেক অর্থমন্ত্রী খালিদ পায়েন্দার। যিনি একসময় যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ৬০০ কোটি ডলারের বাজেট তদারকি করেছেন। সেই তিনিই এখন ছয় ঘণ্টা কাজ করে আয় করেছেন ১৫০ ডলারের সামান্য কিছু বেশি।