আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। সাধারণ ছুটির মধ্যে অধিকাংশ অফিস বন্ধ থাকলেও ব্যাংক খোলা ছিল। শুরু থেকেই সীমিত আকারে লেনদেন অব্যাহত আছে। পর্যায়ক্রমে অবশ্য ব্যাংক লেনদেনের সময় ও শাখা খোলা রাখার পরিধি বাড়ানো হয়।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেন এবং সাড়ে ৩টা পর্যন্ত খোলা রাখা হয়। আর পরিপূর্ণভাবে অনলাইন সুবিধা না থাকা ব্যাংকের সব শাখা খোলা রাখতে হয়েছে। অনলাইন সুবিধা থাকা ব্যাংকের মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অন্তত একটি শাখা খোলা রাখতে হয়েছে। তবে আগামী ৩০ মে শনিবার সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ায় রোববার থেকে প্রতিটি ব্যাংকের সব শাখা খোলা রাখতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, সাধারণ ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় ব্যাংকের অফিস ও লেনদেন সময়সূচি সাধারণভাবে পুনঃবহাল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সমুদ্র, স্থল ও বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখা বা বুথ সপ্তাহে ৭দিন ২৪ ঘন্টা খোলা রাখার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে ব্যবস্থা নিতে হবে। অফিসের কর্মপরিবেশে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি, অসুস্থা কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং সন্তান সম্ভাবা নারীর কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে। ব্যাংক খোলা রাখার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বিধি সংক্রান্ত ১৩টি নির্দেশনা পরিপূর্ণভাবে পরিপালন করতে হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সংক্রান্ত বিষয়ে মাসিক ভিত্তিতে দফাওয়ারি পরিপালন প্রতিবেদন পরবর্তী মাসের ৫ কর্মদিবসের মধ্যে অফ-সাইট সুপারভিশন বিভাগে পাঠাতে হবে। আর সরকার ঘোষিত নির্দেশনার আলোকে গণপরিবহন চলাচল সীমিত থাকা অবস্থায় প্রয়োজনে কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অফিসে যাতায়াতের জন্য ব্যাংকের নিজ দায়িত্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন থেকে ঘোষিত করোনা সংক্রমণের মাঝারি ও উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত শাখা সকাল ১০টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেন হবে। লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করার জন্য ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। এধরনের শাখার তালিকা প্রতি সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে হবে।