করোনার বিস্তাররোধ করতে চলতি বছরের শুরুর দিকে দেশটিতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। এরই অংশ হিসেবে দেশের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এদিকে সোমবার থেকে রাজধানী টোকিওর সব স্কুল, সিনেমা হল, স্পোর্টস ক্লাব এবং ডিপার্টমেন্টাল স্টোর খুলে দেওয়া হচ্ছে।
জাপানের সরকারি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে যে, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের ভ্রমণকারীদের জাপান ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, কয়েক মাসের মধ্যেই এসব দেশের ভ্রমণকারীরা আবারও জাপানে ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
সোমবার সকাল পর্যন্ত জাপানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৭ হাজার। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ৯শ জন। গত ফেব্রুয়ারি থেকে জাপান ভ্রমণে বিভিন্ন দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আনা হয়। করোনার প্রকোপ যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে জাপানের জাতীয় দৈনিক আসাহি শিমবান পত্রিকাকে বেনামি একটি সূত্র জানিয়েছে, চার দেশের ভ্রমণকারীদের ব্যবসায়িক কাজে জাপানে প্রবেশের ওপর অনুমতি দেওয়া হবে। তাদের শরীরে করোনা নেগেটিভ থাকলেই তারা জাপানে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে তাদের দু'বার পরীক্ষা করা হবে।
তারা যখন দেশ ছাড়বেন তখন একবার এবং তারা যখন জাপানে প্রবেশ করবেন তখন আরেকবার তাদের পরীক্ষা করা হবে। তবে জাপানে প্রবেশের অনুমতি পেলেও তারা যেখানে সেখানে ঘুরতে পারবে না। তাদের চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা থাকবে।