মঙ্গলবার দেশটির সরকার ওষুধটি ব্যবহারে অনুমতি দেয়ার কথা নিশ্চিত করেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
গিলিয়াডের এ রেমডেসিভিরই প্রথম ওষুধ যা কোভিড-১৯ রোগীদের উপর চালানো বেশ কয়েকটি ক্লিনিকাল ট্রায়ালে ভালো ফল করেছে।
মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ‘জরুরি প্রয়োজনে’ ওষুধটি ব্যবহারে গত মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন কর্তৃপক্ষের অনুমতি মিলেছিল। জাপানের স্বাস্থ্যসেবা কর্তৃপক্ষও ওষুধটি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।
“১ জুন থেকে জরুরি ব্যবহারের শর্তে রোগীদের ৫ ডোজ করে রেমডেসিভির দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে,” ইমেইলে দেয়া বিবৃতিতে এমনটাই বলেছেন ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের প্রধান ডা. ভি জি সোমানি।
রেমডেসিভিরের নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারতে এক লাখ ৯৮ হাজার ৭০৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে।
সোমবার গিলিয়াড সায়েন্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এ মাঝারি মাত্রার আক্রান্তদের ৫ দিন রেমডেভিসির দেয়ার পর তাদের কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে দেখা গেছে, তবে যারা ১০দিন টানা ওষুধটি সেবন করেছেন তাদের ফল আশানুরূপ হয়নি।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষও কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় রেমডেভিসির ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করছে। দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্তৃপক্ষ গত শুক্রবারই ওষুধটি আমদানি করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে বলে জানিয়েছিল।