মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার ব্রাজিলে করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের মৃত্যুর নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রাদুর্ভাব কমে আসার কোনও লক্ষণও দেশটিতে দেখা যাচ্ছে না।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই ব্রাজিলের অবস্থান। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ড ওমিটার-এর তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে মোট পাঁচ লাখ ৫৮ হাজার ২৩৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩১ হাজার ৩০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত ২১ মে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সতর্ক করেছে, ব্যাপক আকারে পরীক্ষার অভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সরকারি হিসেবের চেয়ে বেশি হতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রাজিলে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সরকারি হিসেবের চেয়ে অন্তত ১৫ গুণ বেশি হতে পারে। তাদের এই আশঙ্কা সত্যি হলে দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অন্তত তিনগুণ বেশি হবে।
ব্রাজিলের বৃহত্তম শহর সাও পাওলোর মেয়র ব্রুনো কোভাস সতর্ক করে দিয়ে বলেন, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা মেনে চলা না হলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারে শহরের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতাদর্শিক শিষ্য ব্রাজিলের কট্টর ডানপন্থী নেতা জইর বলসোনারো শুরু থেকেই করোনাভাইরাসের হুমকিকে ‘ছোটখাটো ফ্লু’ আখ্যা দিয়ে আসছেন। ভাইরাসটির বিস্তার রোধে দেশটির কোনও কোনও প্রাদেশিক সরকার লকডাউন ঘোষণা করলেও এর কারণে বেকারত্ব বাড়ছে বলে সেসব সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করছেন বলসোনারো।