বুধবার (৩ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্র এই তথ্য জানায়।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষক ড. জায়েদ বখত গণমাধ্যমকে বলেন, একদিকে আমদানি ব্যয় কমে গেছে। অন্যদিকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এখনও স্বাভাবিক বলা চলে।
তিনি মনে করেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড পরিমাণ উচ্চতায় উঠার ক্ষেত্রে বড় অবদান রয়েছে প্রবাসীদের। এছাড়া রফতানি আয়েরও এক্ষেত্রে ভূমিকা রয়েছে। তবে রফতানি আয় কমে না গেলে রিজার্ভ আরও বাড়তো বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি উল্লেখ করেন, করোনার মধ্যেও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এই রেকর্ড গড়তে সহায়তা করেছে।
এদিকে সদ্য সমাপ্ত মে মাসে ১৫০ কোটি ৩০ লাখ (১.৫ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা যা গত এপ্রিল মাসের চেয়ে ৪১ কোটি ৬৬ লাখ ডলার বেশি। এর আগে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বোচ্চ রেকর্ড ৩৩ বিলিয়ন ডলার উচ্চতায় উঠে ২০১৭ সালের ২১ জুন। সেইদিন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩ হাজার ৩০১ কোটি ডলার। এরপর ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর, ২ নভেম্বর ও ২৮ ডিসেম্বর ৩৩ বিলিয়ন ডলারে ফেরে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০০১ সালে প্রথমবারের মতো এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল বাকি রাখতে বাধ্য হয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ১৬ বছর পর ২০১৭ সালে সেই রিজার্ভ গিয়ে ৩৩ বিলিয়ন ডলারে ঠেকে।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদের শেষ দিকে বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ১ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি নেমে আসে। এরপর বিচারপতি লতিফুর রহমানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন দায়িত্ব নেয়, তখন রিজার্ভ ছিল ১ বিলিয়ন ডলারের সামান্য বেশি।