গত ৮ জুন পাকিস্তানের আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শহীদ খাকান আব্বাসি ও রেলমন্ত্রী শেখ রশীদ আহমাদ করোনায় আক্রান্ত হন। পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) মুখপাত্র মরিয়ম আওরঙ্গজেব ৬১ বছর বয়সী আব্বাসির আক্রান্তের তথ্য নিশ্চিত করেন।
দেশটির জাতীয় দৈনিক ডন অনলাইনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউসুফ রাজা গিলানির ছেলে কাশিম গিলানি শনিবার তার বাবার করোনায় আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ন্যাশন্যাল অ্যাকাউন্টিবিলিট ব্যুরোর (এনএবি) একটি জালিয়াতির মামলার শুনানির পরই নাকি ৬৭ বছর বয়সী গিলানি করোনা আক্রান্ত হন।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে এক বার্তায় কাশিম গিলানি জানান, ‘বাবার করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ এসেছে।’ বাবার করোনা আক্রান্ত হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও দেশটির ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোকে (এনএবি) দায়ী করেছেন গিলানির ছেলে কাশিম।
টুইটারে কাসিম আরও লিখেছেন, ‘ইমরান খানের সরকার ও ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো ধন্যবাদ! আপনারা সফলভাবে আমার বাবার জীবন বিপন্ন করতে সক্ষম হয়েছে।’ গত বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডিতে এনএবি’র দায়ের করা ওই জালিয়াতির মামলার এক শুনানিতে হাজির হয়েছিলেন ইউসুফ রাজা গিলানি।
গিলানি প্রথম নন, এর আগে পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় নেতা এই মহামারির শিকার হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলীম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এর নেতা শেহবাজ শরিফের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর জানা যায়। তিনি এনএবি-এর শুনানিতে হাজিরা দিয়েছিলেন।
পাকিস্তানের আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) প্রধান ৬৮ বছর বয়সী শেহবাজ শরিফ গত ৯ জুন অর্থ পাচার মামলায় এনএবি-তে হাজিরা দিতে গিয়েই করোনায় আক্রান্ত হন বলে দাবি করেন দলটির নেতা আতাউল্লাহ তারার।
করোনায় আক্রান্ত ইউসুফ রাজা গিলানি ২০০৮ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানের ১৮তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর দেশটির সর্বোচ্চ আদালত তাকে অযোগ্য ঘোষণা করে বহিষ্কারাদেশ দিলে ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি।
পাকিস্তানের একজন প্রাদেশিক মন্ত্রীসহ অন্তত চারজন আইনপ্রণেতা মহামারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬ হাজার ৪৭২ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত নিয়ে মোট শনাক্ত ১ লাখ ৩২ হাজার ৪০৫; মোট মৃত্যু ২ হাজার ৫৫১।