সোমবার (১৫ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ ‘ঋণ শ্রেণিকরণ’ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকে পাঠিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোনও ঋণগ্রহীতা ঋণ শোধ না করলেও ঋণের শ্রেণিমানে কোনও পরিবর্তন আনা যাবে না। ফলে বর্তমানে কোনও ঋণগ্রহীতা যদি ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হন, তাহলে তাকে খেলাপি করা যাবে না। তবে যদি কোনও খেলাপি ঋণগ্রহীতা এই সময়ের মধ্যে ঋণ শোধ করেন, তাকে নিয়মিত ঋণগ্রহীতা হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ঋণ বা বিনিয়োগের শ্রেণিমান যা ছিল, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উক্ত ঋণ বা বিনিয়োগ তদাপেক্ষা বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না। তবে কোনও ঋণের বা বিনিয়োগের শ্রেণিমানের উন্নতি হলে তা যথাযথ নিয়মে শ্রেণিকরণ করা যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক উল্লেখ করেছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি বিদ্যমান মেয়াদি (স্বল্প মেয়াদি কৃষি ঋণ ও ক্ষুদ্র ঋণসহ) ঋণ বা বিনিয়োগের বিপরীতে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি হতে ৩০ সেপ্টেম্বর সময়কালীন প্রদেয় কিস্তিগুলো ডিফার্ড হিসেবে বিবেচিত হবে। এক্ষেত্রে চলতি বছরের অক্টোবর থেকে সংশ্লিষ্ট ঋণ বা বিনিয়োগের কিস্তির পরিমাণ ও সংখ্যা পুনর্নির্ধারিত হবে।
পুনর্নির্ধারণকালে জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যতসংখ্যক কিস্তি প্রদেয় ছিল, তার সমসংখ্যক কিস্তির সংখ্যা বাড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, ১ জানুয়ারি বিদ্যমান, চলমান ও তলবি ঋণ বা বিনিয়োগের মেয়াদ বা সমন্বয়ের তারিখ বিদ্যমান মেয়াদ হতে ৯ (নয়) মাস বা ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ (যেটি আগে ঘটে) পর্যন্ত বাড়বে। সুবিধা চলাকালীন ঋণ বা বিনিয়োগের ওপর সুদ বা মুনাফার হিসাবায়নের ক্ষেত্রে এতদ্বসংক্রান্ত বিদ্যমান নীতিমালা বলবৎ থাকবে। তবে উক্ত সময়ে ঋণ বা বিনিয়োগের ওপর কোনোরূপ দণ্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি (যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন) আরোপ করা যাবে না।