চীনের ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপের (সিএনবিজি) সিনোফার্মের সঙ্গে যৌথভাবে ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে করোনার উৎপত্তিস্থল উহানে অবস্থিত দেশটির গবেষণা প্রতিষ্ঠান উহান ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস।
গত ১২ এপ্রিল ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সী এক হাজার ১২০ জন স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে ভ্যাকসিনটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়। পরীক্ষায় ভ্যাকসিনটির সুরক্ষার রেকর্ড ভালো পাওয়া গেছে। এছাড়া ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ভ্যাকসিনটির তীব্র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
স্বেচ্ছাসেবীদের দেহে ভিন্ন প্রক্রিয়ায় ও ডোজের দুটি ইনজেকশন দেয়া হয়। এতে তাদের দেহে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়।
১৪ থেকে ২১ দিনের ব্যবধানে মাঝারি মাত্রার ডোজের দুটি ইনজেকশন যাদের দেয়া হয়েছিল; তাদের দেহে নিষ্ক্রিয় অ্যান্টিবডির সেরোকনভার্সন ৯৭ দশমিক ৬ শতাংশে পৌঁছায়। অন্যদিকে ২৮ দিনের ব্যবধানে যাদের ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হয়েছিল তাদের দেহে নিষ্ক্রিয় অ্যান্টিবডির সেরোকনভার্সন পুরোপুরি একশ ভাগে পৌঁছায়।
করোনার এই ভ্যাকসিনটির চূড়ান্ত ধাপের পরীক্ষা চীনের বাইরে চালানোর প্রক্রিয়ায় অন্যান্য দেশের সহযোগিতা চায় সিএনবিজি। বিশ্বের বেশ কয়েকটি কোম্পানি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান চীনের ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপের ভ্যাকসিনটির পরীক্ষায় সহায়তায় রাজি হয়েছে।
ইতোমধ্যে চীনা এই কোম্পানি ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য উচ্চ-স্তরের বায়ো সেফটিযুক্ত কারখানা তৈরি করেছে, যা ভ্যাকসিনটির জরুরি ব্যবহারের জন্য ভ্যাকসিন সরবরাহ নিশ্চিতে সহায়তা করতে পারে।