আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, করোনার প্রাদুর্ভাব কাটিয়ে ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিতকরণের লক্ষ্যে সরকার কতৃক এ পর্যন্ত ১,০৩,১১৭ কোটি টাকার আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। যার অধিকাংশই ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ব্যাংকের সকল পর্যায়ের কর্মকতার্দের প্যাকেজসমূহ সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা আবশ্যক। তাছাড়া প্যাকেজ সমূহের যথার্থ বাস্তবায়নকল্পে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ সকল শাখা ও উপশাখার বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্পৃক্ত করাও অত্যন্ত জরুরি। অন্যথায় প্যাকেজসমূহের বাস্তবায়ন কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছানো সম্ভবপর হবে না। যা কাম্য নয়। তাই প্রণোদনা প্যাকেজসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ঋণ গ্রহীতার আবেদন স্বল্পতম সময়ের মধ্যে যাচাই-বাছাইপূর্বক দ্রুত ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রযোজ্য বিধি-বিধানের আলোকে ঋণ প্রদান সম্ভবপর না হলে সেক্ষেত্রে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে আবেদনকারীকে বিষয়টি জানানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আরো বলা হয়, আবেদনকারীদেরকে সহায়তা করার লক্ষ্যে প্রতিটি শাখায় আবশ্যিকভাবে একটি স্বতন্ত্র ‘হেল্প ডেস্ক' গঠন করতে হবে এবং সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ সংক্রান্ত তথ্যাদি প্রদর্শন করতে হবে। প্রণোদনা প্যাকেজসমূহের সার্বিক মনিটরিং কার্যক্রম ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালনা করতে হবে। ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অধিকতর উজ্জীবিত হয়ে প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে যাতে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করতে পারে সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ গ্রহণ করতে আপনাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।