আহত এসব সেনা সদস্যের প্রত্যেকে আবার নিজ নিজ দায়িত্বে ফিরতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তারা। এর আগে ওই সংঘাতে অন্তত ২০ সেনার মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে লাদাখ সীমান্তে ভারত ও চীনা সেনাদের মধ্যে উত্তেজনার পর গত ১৫ জুন (সোমবার) উভয় পক্ষ সংঘাতে জড়ায়। ওইদিন লাদাখের সুউচ্চ পর্বতমালায় গালওয়ান নদীর পূর্ব পার ধরে টহলে বেরিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিহার রেজিমেন্টের একটি প্যাট্রোল পার্টি। তাদের সঙ্গেই চীনা সেনাদের তীব্র সংঘাত হয়। ভারতের অভিযোগ, লাইন অফ কন্ট্রোল উপেক্ষা করে তাদের সীমান্তে ঢুকে পড়েছে চীনা সেনারা। বেইজিং-এর পাল্টা অভিযোগও একই রকম।
ওই সংঘাতের ঘটনায় ৭৬ সেনা সদস্য আহত হওয়ার কথা বৃহস্পতিবার প্রকাশ করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এদের মধ্যে ১৮ জন লেহ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তারা ১৫ দিনের মধ্যে দায়িত্বে ফিরতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া অপর ৫৬ জন এক সপ্তাহের মধ্যেই কাজে যোগ দিতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
কর্নেল বিকে সন্তোষ বাবুর নেতৃত্বে ভারতীয় সেনা সদস্যরা চীনা বাহিনীর একটি তাঁবু সরিয়ে দিতে গেলে গত সোমবার রাতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। উভয় পক্ষ কাঁটা তারে জড়ানো রড ও পাথর নিয়ে সংঘাতে জড়ায়। এই ঘটনায় হতাহতের কোনও সংখ্যা প্রকাশ করেনি বেইজিং। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি অন্তত ৪৫৬ জন চীনা সেনা নিহত বা আহত হয়েছে।
সংঘাতের পর বৃহস্পতিবার চীনের হাতে বেশ কয়েক জন সেনা আটক থাকার খবর প্রকাশের পর ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সংঘাতের সময় উপস্থিত সব সেনা সদস্যেরই খোঁজ পাওয়া গেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফ থেকে বলা হয়েছে, ‘কার্যত কোনও ভারতীয় সেনা নিখোঁজ নেই বলে স্পষ্ট হওয়া গেছে।’
এদিকে সংঘাতের পর টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বৃহস্পতিবারও আলোচনা অব্যাহত রাখে ভারত ও চীনের সেনা কর্তৃপক্ষ। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আশা করছে চীনা কর্তৃপক্ষ তাদের ভূমিকা পর্যালোচনা করবে এবং সংশোধনমূলক পদক্ষেপ নেবে।