শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টায় শুরু হওয়া আয়োজিত ওই বৈঠকে উপস্থিত হয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ও শিবশেনার প্রধান ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী যাদব থেকারেসহ দেশটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। খবর এনডিটিভির।
খবরে বলা হয়, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের আমন্ত্রণের সব দলের সভাপতিকে গতকাল সন্ধ্যায় আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি, লালু যাদবের আরজেডি ও আসাদউদ্দিন ওয়াইসির এআইএমআইএম-ও আমন্ত্রণ না পাওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সংসদে অন্তত ৫ সদস্য না থাকায় আলোচিত ওই দুই দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জানানো হয়।
খবরে বলা হয়, গলওয়ান উপত্যকায় ঠিক কী ঘটেছিল, এখন কী পরিস্থিতি সীমান্তের, কী করতে চাইছে সরকার— এই সব বিষয়ই দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলির শীর্ষ নেতৃত্বকে আজকের ওই বৈঠকে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জানাবেন প্রধানমন্ত্রী, ধারণা রাজনৈতিক শিবিরের। যে সংঘাত শুরু হয়েছে সীমান্তে, তা নিয়ে ঠিক কী অবস্থান নিতে চলেছে ভারত, সেটা অনেকটাই স্পষ্ট হতে পারে এই বৈঠকের পরে।
দেশের সীমান্তে যখন বিপজ্জনক সঙ্ঘাতের পরিস্থিতি, তখন প্রধানমন্ত্রীর সর্বদল বৈঠকে এই দলগুলিকে কেন ডাকা হল না? এখানেও কি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে চাওয়া হল? এমন প্রশ্ন তোলা শুরু হয়েছে ওই দলগুলির তরফে। কিন্তু সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, যে মাপকাঠির ভিত্তিতে সর্বদলীয় বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিভিন্ন দলকে, আরজেডি, আপ বা এআইএমআইএম সেই মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ হতে পারছে না।